স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় প্রাণ গেলো স্ত্রীর
দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না দেওয়ায় ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন স্বামী। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী সেকেন্দার আলী।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ঘিওর উপজেলার রাথুরা এলাকার সেকেন্দার আলীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায় , গত ২০২২ সাল থেকে নিহত লায়লা আরজু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। তার স্বামী সেকেন্দার আলী চর্মরোগে আক্রান্ত ছিলেন। ফলে স্বামী-স্ত্রী আদালা রুমে থাকতেন। তাদের মধ্যে শারীরিক সর্ম্পক না থাকায় সেকেন্দার আলী দ্বিতীয় বিয়ের জন্য সম্মতি চাইলে স্ত্রী লায়লা আরজু তাতে সম্মতি না দিয়ে বাধা দেন।
এ নিয়ে গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্রে করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সেকেন্দার আলী তার স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেন এবং রান্না ঘর থেকে ছুরি এনে স্ত্রীর গলায় আঘাত করেন। এরপর আঘাতে কারণে রক্ত বের হলে ওড়না দিয়ে তার স্ত্রীর গলা বেঁধে ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখে বাজারে যান।
পরে বাজার থেকে ফিরে স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে আশপাশের লোকজন জড় করেন । এরপর স্থানীয় ডাক্তার ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নিহতের ভাই মাইনুল ইসরাম মুকুল বাদী হয়ে ঘিওর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরে অভিযুক্ত নিহতে স্বামী সেকেন্দার আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনার পর তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার ও সোর্সের মাধ্যমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।