জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেয়ালে আঁকা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী গ্রাফিতি, দেয়াল চিত্র ও লিখন মুছে ফেলেছে রাজধানীর ঢাকা কলেজ সংলগ্ন গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির দেয়ালে লেখা ও আঁকা গ্রাফিতি সাদা রং দিয়ে মুছার কাজ করছেন ৫/৬ জন কর্মচারী।
তারা জানান, দেয়াল সংস্কারের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের নিয়ে এসেছেন। পরে আবার নতুন করে ছবি ও ঐতিহাসিক চিত্র আঁকা হবে। এটা করতে আমাদের দুদিন সময় লাগবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আফজাল হোসেন রাকিক কালবেলাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের সূচনা হয়। তারপর ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শাসনকালের অবসান শুরু হয় নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। সেই বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস ধারণ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের সৈনিকরা সারা বাংলার দেওয়ালে দেওয়ালে গ্রাফিতি অংকন করে জুলাই বিপ্লবকে ফুটিয়ে তুলেছিল।
পাশাপাশি তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বিভিন্ন দেওয়াল থেকে জুলাই বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি মুছতে শুরু করেছে কিছু সংখ্যক মানুষ। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটোরি হাইস্কুল। তাদের এই স্কুলের দেওয়াল থেকে সব গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এটা খুবই দুঃখজনক একটা কাজ হয়েছে। এই যে জুলাই বিপ্লব মুছে দেওয়ার দুঃসাহস দেখালো তার জন্য অবশ্য দোষীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ল্যাবরেটরি স্কুলের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন তালুকদার কালবেলাকে বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত গ্রাফিতি মুছে ফেলার জন্য। জুলাই অভ্যুত্থানের আগেই দেয়াল সংস্করের জন্য বাজেট এসেছিল। সেটা কিছুদিন আগে কার্যকর হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দেয়াল সংস্কারের জন্য গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। আমরা দুই দিন পর আবার গ্রাফিতি আঁকা শুরু করব।