জুলাই যোদ্ধা ফারুকের গাল থেকে গুলি অপসারণ

8 hours ago 3
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন ফারুক হোসেন। গুলি লাগে তার গালে। টানা এক বছর পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই গুলি (পিলেট) অপসারণ করা হয়েছে।  শনিবার দুপুরে (২৩ আগস্ট) বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (বিজরুল) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফারুক হোসেনের গাল থেকে সেই গুলি (পিলেট) অপসারণ করেন। ফারুক হোসেন নন্দীগ্রাম উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামের আমির হোসনের ছেলে। পেশায় তিনি দর্জ্জি। তিনি নন্দীগ্রামে পলাশ টেইলার্সে কাজ করেন।  গত বছর ৪ আগস্ট ফারুক বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে গুলিবিদ্ধ হন। তখন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। কিন্তু বর্তমানে আবার জ্বালাপোড়া শুরু হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন গালে গুলি রয়ে গেছে। গুলি গালে থাকার কারণে মাঝে-মধ্যেই খুব ব্যথা করত।  এ বিষয়ে ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, ফারুক হোসেন গালে ব্যথা অনুভব করছিল। পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পর অস্ত্রোপচার করে তার গাল থেকে পিলেট বের করা হয়েছে। এখন সে সুস্থ আছে।  ফারুক হোসেন বলেন, গতবছর ৪ আগস্ট আমি বগুড়ার সাতমাথায় গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করি। ওই মিছিলে পুলিশের ছোড়া গুলি আমার গালে লাগে। তখন চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হই। গুলি গালে থাকার কারণে মাঝে মধ্যেই খুব ব্যথা করতো। শনিবার অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। এখন আমি ভালো আছি।
Read Entire Article