জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ মতামত অনেকে সমর্থন করেছেন

4 days ago 9

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেছেন, বিশেষজ্ঞ প্যানেল যে মতামত দিয়েছে এটা আমরা বিবেচনা করতে পারি। এটা সর্বসম্মতভাবে বিশেষজ্ঞ প্যানেল আমাদের দিয়েছে। এটা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করেছি। বিভিন্নভাবে অনেকে এটা সমর্থন করেছেন, অনেকেই এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে বিভিন্ন পথ ও পদ্ধতি নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন রকম মতামত পেয়েছিলাম এবং তার ভিত্তিতেই আগের দুই দিনের আলোচনা ছিল।

আমরা ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল তৈরি করে তাদের মতামত নিচ্ছি এবং তাদের মতামতগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন সময় তাদের অবহিত করছি।

সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পথে আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল আগে দুটো বিষয়ের কথা বলেছিল—তার একটি হচ্ছে গণভোট, আরেকটি হচ্ছে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে এই দুটো বিষয়কে সমন্বিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ মতামত কমিশনকে তারা দিয়েছেন এবং সেটা আমরা আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করেছি।

আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কাছ থেকে যে সুপারিশ পাওয়া গেছে, তারা বলছেন যে ঐকমত্য কমিশনকে এই মতামত দিচ্ছেন এবং আমরা এটা সরকারের কাছে সুপারিশ হিসেবে হাজির করতে পারি। তারা বলছেন যে অন্তর্বর্তী সরকার একটি কনস্টিটিউশন অর্ডার, যেটা জুলাই ঘোষণার ২২ দফা অনুসরণ করে ঘোষণা করতে পারে। এই কনস্টিটিউশন অর্ডারের মধ্যে থাকবে যে কোর রিফর্ম, যেগুলো মূলত সংবিধান সংশ্লিষ্ট যে সমস্ত সংস্কারের কথা বলা হয়েছে সেগুলো থাকবে।

তারা আরও বলছেন যে এই কনস্টিটিউশন অর্ডারটি পরবর্তী সময়ে—অর্থাৎ যেদিন পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—সে একই সময়ে গণভোট করা যেতে পারে এবং যেই অর্ডারের কথা তারা বলছেন, কনস্টিটিউশন অর্ডারের মধ্যে ওই গণভোটের বিধানটি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

তৃতীয়ত তারা বলছেন যে এই কনস্টিটিউশন অর্ডার ইমিডিয়েটলি ইফেক্টিভ হবে, যখন এটা ঘোষণা করা হবে। তবে গণভোটের মধ্য দিয়ে যখন জনগণের সম্মতি পাওয়া যাবে তখন থেকে এটাকে ভ্যালিডেটেড বলে মনে করা হবে এবং রেট্রোসপেক্টিভলি—অর্থাৎ যখন থেকে আইনটা করা হয়েছে তখন থেকে তার বাস্তবায়ন বিবেচনা করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ থাকবে এবং আমরা আশা করছি অক্টোবরের শুরুর দিকে আমরা আবার মিলিত হব।

তিনি বলেন, আমরা সবাই একমত হতে পারি বা কমিশন যখন এই মতামতগুলোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার মতো অবস্থায় উপনীত হবে সে সময় যেন আমরা কমিশনের প্রধান এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশগুলো উপস্থাপন করতে পারি।

আলোচনার ক্ষেত্রে এখন এই পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। আমরা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখবো এবং আমরা আশা করছি অক্টোবরের শুরুর দিকেই আমরা আবার বসে খুব দ্রুততার সঙ্গে কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করে সরকারকে দিতে পারব।

কেএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

Read Entire Article