জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে সমাপ্তি সুন্দর হবে: আযাদ

8 hours ago 1

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, সমঝোতার কথা আমরা বার বার বলতে চাই। রাজনৈতিকভাবে আমরা যদি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, সেটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ হবে। আগামী নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হলে একটি সুন্দর সমাপ্তি হবে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জুলাই সনদ ২০২৫ এটাকে রাজনৈতিক ইতিহাসের দলিল বলতে চাই না। যেটা রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে থাকবে। যার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ সুশাসন, গণতন্ত্র ও একটা কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হবে। জবাবদিহিমূলক একটি সরকার হবে। এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি সনদ প্রণীত হয়। তাহলে আমাদের বিশ্বব্যাপী ওয়েলকাম জানাবে। এটা বিশ্বে অনন্য নজির হয়ে থাকবে। আমরা সবাই একমত হতে চাই। যতটুকু পার্থক্য আছে, তা দূর হোক। দেশের স্বার্থে দশের স্বার্থে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

ঐকমত্য কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের এ অক্লান্ত পরিশ্রমের দিকে পুরো জাতি তাকিয়ে আছে। তাই জুলাই সনদে আইনের ভিত্তি যেন থাকে। আইনি ভিত্তি কীভাবে হবে সেটার আমরা লিখিত দিয়েছি। লিখিত বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছেছে।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, যদি আমরা একমত হতে না পারি তাহলে একটি অপশন হল গণভোট। জনগণ গণভোট দেবে। জাতীয় সনদ গণভোটে যাবে। জনগণ যে রায় দেবে, সেটা আমরা মানবো।

‘মাননীয় উপদেষ্টা, আপনার নেতৃত্বে শিক্ষাঙ্গনে একটি সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত হয়েছে। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। আপনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সুন্দর সুষ্ঠু একটি নির্বাচন এর মাধ্যমে আপনাদের সমাপ্তি হোক, এটা আমরা কামনা করি।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন উদ্বিগ্ন করেছে উল্লেখ করে জামায়াতের সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ এর দুটি নির্বাচন আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টাকে আমরা নেতিবাচক সংকট হিসেবে দেখতে চাই। তবে আগামী নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে হয়। তাহলে আমাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে।

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে পেয়েছি আজকের সভায়। আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞ। আমরা আজ রাজনৈতিক দল ও সরকারপ্রধানসহ সবাই একসঙ্গে হতে পেরেছি। যেটা আগে কখনো বাংলাদেশে হয়নি।

তিনি বলেন, সবাইকে স্মরণ করাতে চাই- সরকার গঠনের পর প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিল মৌলিক সংস্কার করা। দ্বিতীয়ত গণহত্যার বিচার, উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন। আমরা জামায়াতে ইসলামী সবসময় সরকারের পাশে থেকেছি, এখনো আছি, আগামীতেও আমাদের সহযোগিতা থাকবে। আমরা মৌলিক অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হতে পেরেছি। আলী রীয়াজ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

আরএএস/এমএএইচ/জিকেএস

Read Entire Article