জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ১.৮১ শতাংশ

1 day ago 5

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমে গেছে, যা গত ১৫ প্রান্তিক কিংবা প্রায় চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের জিডিপির তথ্য প্রকাশ করেছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের এই প্রবৃদ্ধি ২০২১ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর সবচেয়ে ধীর। ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে এসেছিল। তবে গত বছরের একই সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ভঙ্গুর দশাকে তুলে ধরেছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে মাত্র দশমিক ১৬ শতাংশ, যা আগের বছরের দশমিক ৩৫ শতাংশের চেয়ে কম। বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিও আশা জাগাতে পারেনি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, কারখানার উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা ২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেকর্ড করা ৮ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম। দেশের জিডিপির গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশের ভেতরে স্থিরমূল্যে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ কোটি টাকার মূল্য সংযোজন হয়, যা গত ৪ প্রান্তিকের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর ১১টি উপখাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে খনিজ ও পাথর উত্তোলন খাতে। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি আর্থিক ও বিমা খাতে।

গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে শ্লথ হয়ে পড়েছে এবং এর ফলে চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে। তবে সংস্থাটি মনে করে যে, আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্থনীতি চাঙা হবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হবে।

Read Entire Article