জেনে নিন যে ৫ ভুলে ফ্রিজ বারবার নষ্ট হচ্ছে

3 hours ago 5
ফ্রিজ এখন আমাদের ঘরের এক অনিবার্য সদস্য। সপ্তাহের বাজার হোক বা রান্না করা খাবার সংরক্ষণ—সবকিছুর জন্যই ফ্রিজ ছাড়া এক মুহূর্তও ভাবা যায় না। কিন্তু অনেকেই অজান্তে এমন কিছু ভুল করে থাকেন, যার কারণে প্রিয় ফ্রিজটা অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানাচ্ছে, কিছু সাধারণ ভুল থেকেই দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে ফ্রিজ। একটু সতর্ক থাকলেই কিন্তু এগুলো সহজেই এড়ানো যায়। আরও পড়ুন: এই ৩ পানীয় খেলেই ত্বকে দ্রুত পড়বে বার্ধক্যের ছাপ আরও পড়ুন: ঘুমাতে যাওয়ার কত আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত জেনে নিন চলুন জেনে নিই ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার ৫টি সাধারণ কারণ এবং কীভাবে আপনি সেগুলো থেকে বাঁচতে পারেন: কনডেন্সার কয়েল পরিষ্কার না করা ফ্রিজের পেছনে বা নিচে থাকে কনডেন্সার কয়েল, যেটা ফ্রিজের গরম বাতাস বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু যদি এই কয়েলে ধুলা-ময়লা জমে, তাহলে ফ্রিজের কমপ্রেশারের ওপর বেশি চাপ পড়ে। ফলাফল? দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে মেশিনটি। কী করবেন? মাসে একবার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে ব্রাশ বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কয়েল পরিষ্কার করে দিন। এতে ফ্রিজ থাকবে ঠান্ডা আর আপনি থাকবেন নিশ্চিন্ত। দরজার রাবার সিল নষ্ট হওয়া ফ্রিজের দরজার চারপাশে থাকা রাবার সিল ঠান্ডা ভেতরে ধরে রাখে। যদি এই সিল নষ্ট হয়ে যায় বা পরিষ্কার না থাকে, তাহলে ঠান্ডা বাতাস বাইরে চলে যায়। এতে কমপ্রেমারকে বেশি কাজ করতে হয়—আর তা দীর্ঘমেয়াদে ফ্রিজের আয়ু কমিয়ে দেয়। কী করবেন? সপ্তাহে অন্তত একবার ভেজা কাপড় দিয়ে সিল পরিষ্কার করুন। সিল শুকিয়ে গেলে সামান্য ভেসলিন লাগাতে পারেন, এতে এটা নরম ও কার্যকর থাকবে। ফ্রিজের ভেন্ট ঢেকে রাখা ফ্রিজ বা ফ্রিজারের ভেতরে কিছু ছোট ছিদ্র বা ভেন্ট থাকে, যেখান দিয়ে ঠান্ডা বাতাস চারপাশে ছড়ায়। কিন্তু আপনি যদি ভেন্টের সামনে খাবার রাখেন, তাহলে ঠান্ডা বাতাস ঠিকমতো ছড়াতে পারে না। এতে ফ্রিজ ঠিকমতো ঠান্ডা হয় না এবং বেশি পরিশ্রম করতে হয় মেশিনকে। কী করবেন? খাবার এমনভাবে রাখুন যাতে ভেন্টগুলোর পথ খোলা থাকে। ফ্রিজ ঠান্ডাও থাকবে, মেশিনও চাপমুক্ত থাকবে। একেবারে খালি বা একদম ভর্তি করে রাখা ফ্রিজ একেবারে ফাঁকা রাখলেও সমস্যা, আবার গাদাগাদি করে ভর্তি করলেও সমস্যা। খালি ফ্রিজ ঠান্ডা ধরে রাখতে বেশি শক্তি খরচ করে আর গাদাগাদি হলে বাতাস চলাচলে বাধা পড়ে। কী করবেন? সবচেয়ে ভালো হলো ফ্রিজ তিন-চতুর্থাংশ পর্যন্ত ভর্তি রাখা। এতে ঠান্ডাও ঠিক থাকবে, বাতাস চলাচলও স্বাভাবিক হবে। বারবার ফ্রিজের দরজা খোলা বাচ্চারা হোক বা বড়রা—অনেকে বারবার ফ্রিজের দরজা খুলে আবার কিছু না নিয়েই বন্ধ করে দেয়। এতে ভেতরের ঠান্ডা বেরিয়ে যায় আর কমপ্রেশারকে বারবার অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলাফল হতে পারে বড়সড় ক্ষতি। কী করবেন? যা লাগবে আগে ঠিক করুন, দরজা খুলে দ্রুত নিয়ে দরজা বন্ধ করুন। যত কম সময় দরজা খোলা থাকবে, তত ভালো। আরও পড়ুন: রাতে খাওয়ার পরও ক্ষুধা লাগার কারণ জেনে নিন আরও পড়ুন: পেটের মেদ কমাতে এই ৬টি খাবার বাদ দি আপনার ফ্রিজটা যেন অনেক বছর ভালোভাবে কাজ করে, সেটার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। এই পাঁচটি সহজ বিষয় মাথায় রাখলেই আপনি ফ্রিজকে রাখবেন সুস্থ, মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
Read Entire Article