আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেনেভা ক্যাম্পে শিশু শাহ আলম হত্যা মামলায় ২৬ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য জানান।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম গ্রেফতার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন— নাসির হোসেন নাশু, ফাইয়াজ হোসেন, মো. রাসেল, মো. হিরা, মো. আল আমিন, মো. জামিল, মো. ফয়সাল হোসেন, মো. গোলাম রসুল, মো. মোস্তাক, মো. সাইদ হোসেন, মো. শুভ, মো. রাকিব, মো. সেলিম, মো. শাওন, মো. মাসুদ রানা, মো. আকাশ, মো. ইসতিয়াক, মো. রাশেদ, মো. রাসেল, মো. রাজ, মো. রাজিব, মো. বশির, মো. পাপ্পু, শাহ আলম, মো. আজাদ হোসেন ও ফয়সাল হোসেন।
- আরও পড়ুন
বুনিয়া সোহেলের আস্তানায় অভিযান, কোটি টাকা-ককটেল উদ্ধার
জেনেভা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান: হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনসহ গ্রেফতার ১৪
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র বহন করে থাকেন। এ ঘটনার সাত দিন আগে থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্যাম্প এলাকায় একাধিক মারামারি ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে।
এর জেরে গত ১১ আগস্ট সকাল থেকে খণ্ড খণ্ডভাবে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় মাদক কারবারিদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে আসছিল। ওইদিন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আসামিরা বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র, ককটেল নিয়ে নিজেদের মধ্যে বড় ধরনের মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ভুক্তভোগী শাহ আলম বছিলা থেকে তার নানির সঙ্গে দেখা করার জন্য জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় যায়। সেখানে যাওয়ার পর বিকেল ৩টার দিকে তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট নিহতের বাবা মো. রুবেল বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।
এমআইএন/বিএ/জেআইএম