ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রোকে নিয়ে সাইবার বুলিং করায় দেশটির আদালতে মামলা হয়েছে। অনলাইনে মিথ্যা ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে ১০ জন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। ব্রিজিটের জেন্ডার-সেক্সোয়ালিটি এবং প্রেসিডেন্ট দম্পতির মধ্যে ২৪ বছর বয়সের ব্যবধান নিয়ে অনলাইনে মানহানিকর তথ্য প্রকাশের জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তরা সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।
মামলায় হাজির হওয়া ১০ জনের মধ্যে রয়েছে এক নির্বাচিত কর্মকর্তা, একজন আর্ট গ্যালারির মালিক এবং একজন শিক্ষক। এর আগে গত বছর সাংবাদিক নাতাশা রে এবং ইন্টারনেট ফর্চুন-টেলার আম্যান্ডিন রয়ে সমালোচনামূলক মিথ্যা দাবির কারণে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে আপিল আদালত পরে তাদের খালাস দিয়েছে।
জানা গেছে, এ দম্পতি ২০০৭ সালে বিয়ে করেছেন। তখন ইমানুয়েল ম্যাক্রোর বয়স ছিল ২৯ এবং ব্রিজিট ম্যাক্রোর বয়স ছিল ৫৪ বছর। তবে ২০১৭ সালে ইমানুয়েল ম্যাক্রো প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আলোচনায় আসেন এ দম্পতি। তখন থেকে ব্রিজিট ম্যাক্রোনকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে দেখানোর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারিত হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাইট উইং ইনফ্লুয়েন্সার ক্যান্ডেস ওয়েন্স এই মিথ্যা দাবি প্রচার করে আসছেন।
ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেছেন, তার সম্মান রক্ষার জন্য ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ম্যাক্রো দম্পতির আইনজীবী টম ক্লেয়ার বলেন, এই দাবি ব্রিজিট ম্যাক্রোনের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে এবং এটি ফরাসি প্রেসিডেন্টের জন্য একটি বড় সমস্যা।
কেএম

2 hours ago
4









English (US) ·