কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ এবং আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথমে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। অন্যদিকে শহীদ মিনার ও দাদামোড় সড়কে অবস্থান নিয়ে পাল্টা ধাওয়া দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
চলতে থাকে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এভাবে দুই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দুদিক থেকে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ঘিরে ফেলে। এসময় ছাত্রলীগ নেতারা পালিয়ে গেলেও জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা কার্যালয়ে আটকা পড়েন। এক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ে দরজা ভেঙে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, সাংগাঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান বাবু, রেদওয়ানুল হক দুলাল, রুহুল আমিন দুলালসহ অন্যান্য নেতাদের পিটিয়ে আহত করেন। পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে আহত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। গুরুতর আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পৌর চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিস শাহিনুর রহমান শিপন বলেন, দুপুরের পর থেকে হাসপাতালে আসতে শুরু করেন আহতরা। এদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষার্থী, পুলিশ রয়েছেন।
ফজলুল করিম ফারাজী/কেএসআর