জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

2 hours ago 4

জয়পুরহাটে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ন্ত্রণের জেরে ডেকে নিয়ে কামাল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ টি এম মিজানুর রহমান বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা  হলেন- পৌর শহরের মজিবনগর এলাকার মৃত ময়েন উদ্দীনের ছেলে রুবেল হোসেন, সদর উপজেলার পলিকাদোয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে লম্বা বাবু ওরফে বাবু হোসেন, পৌর এলাকার গৌড়িপাড়া মহল্লার ওবাইদুল মিস্ত্রীর ছেলে রানা আহম্মেদ, সদর থানার ইসলামনগর গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে মিঠুন হোসেন। এই ৪ আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ৪ আসামি পলাতক রয়েছেন।

পলাতক আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার তেঘর রেলঘুমটি এলাকার মৃত তছির উদ্দীনের ছেলে সুজাউল ইসলাম ওরফে সেজাউল, পৌর এলাকার পূর্ব দেবীপুর মহল্লার মৃত জোব্বার মণ্ডলের ছেলে মো. জিয়া, পৌর এলাকার দেওয়ান পাড়া মহল্লার মো. হাসানের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে পিচ্চি মিজান, পৌর এলাকার গৌড়িপাড়া মহল্লার শাহজাহান আলী মিস্ত্রীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম ওরফে কানা সবুজ। আদালতের বিচারক পলাতক এই চার আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোওয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রাত সোয়া ১০টার দিকে আসামি লম্বা বাবু মোবাইল করে কামাল হোসেনকে ডেকে নিয়ে যায় রেললাইনের পূর্ব পাশে বাবুলের ভাঙা বাড়িতে। ডেকে নেওয়ার ১৫ মিনিটের মাথায় এলাকার ও প্রতিবেশীদের ডাক চিৎকারে মামলার বাদী মোছাম্মৎ বেগম ও তার স্বামী আব্দুস ছালামসহ লোকজন গিয়ে দেখে কামালকে রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, ছোড়া দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় নিহত কামালের মা মোছাম্মৎ বেগম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। নিহত কামাল শহরের পূর্ব দেবীপুর মহল্লার আব্দুস ছালাম ও মোছাম্মৎ বেগম দম্পতির ছেলে। মামলা তদন্ত করে সদর থানার এসআই ফরিদ উদ্দীন ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Read Entire Article