ঝিনাইদহে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের সার্কিট হাউজ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সেখানে বিক্ষোভ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
একই সময় টিভি সেন্টার ও মৎস্য ভবন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সমবেত হতে গেলে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
এর আগে শহরসহ আশপাশের এলাকা থেকে সমবেত মিছিলে অংশ নিতে তাদের নির্ধারিত স্থানে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা মিছিল বের করেন। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জজ কোর্টের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচির জন্য এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে তারা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। তখন আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক শারমিন আরা, রত্না খাতুন, হোসাইন আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের জজ কোর্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই ওই এলাকায় জোর দার করা হয়েছি চেকপোস্ট। সেসময় পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আবদুর রহমান, সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিজিবি সদস্য রা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছেন। তারা আমাদের কোনো কথাই শুনছেন না। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আসতে দেওয়া হয়নি। এখানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আইনজীবীসহ সব শ্রেণির মানুষের জমায়েত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের বাধায় তারা আসতে পারেননি।
আন্দোলনের শুরুতেই ঝিনাইদহে আমাদের ওপর হামলা, দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থী হত্যার বিষয়ে প্রশাসন কোনো জবাব দিতে পারেনি। সারাদেশের ন্যায় শিক্ষার্থী হত্যা, গ্রেফতারসহ আমাদের ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আমরা বাধা সৃষ্টি করেছি। তাদের বোঝানো হচ্ছে সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। বাকি দাবিগুলো মানার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএইচ/এএসএম