নওগাঁয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আমানত হিসেবে শত শত কোটি টাকা জমা রেখেছিলেন গ্রাহকরা। হঠাৎ করে গ্রাহকের জমাকৃত টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ওই ফাউন্ডেশনের এমডিসহ সংশ্লিষ্টরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন শত শত গ্রাহক। ফলে ফাউন্ডেশনে জমা রাখা শত শত কোটি পাওনা টাকা ফেরত ও প্রধান নির্বাহী (এমডি) নাজিম উদ্দিন তনুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন প্রায় ৩ শতাধিক গ্রাহক। এতে সড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে চলাচল ব্যাহত হয়।
অবশেষে নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান নির্বাহী (এমডি) নাজিম উদ্দিন তনুকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সড়ক থেকে চলে যান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানাসহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নাজিম উদ্দিন তনু দেশ থেকে যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, নওগাঁ শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় গত কয়েক বছর থেকে বেসরকারি সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এ ছাড়া আমানতকারীদের লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা (লাভ) দিতেন। জেলার ১১টি উপজেলায় এ সংস্থার কার্যক্রম রয়েছে। এ সংস্থার সদস্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রাহকের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করে গত ১২ নভেম্বর সংস্থার সব কার্যক্রম বন্ধ করে সাড়ে ৫ হাজার গ্রাহকের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সংস্থার পরিচালক ও চেয়ারম্যান। এরপর থেকে শত শত গ্রাহক প্রতিদিন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলার পর চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।