বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ তিন মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে।
রোবাবর (২৪ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদুল মোহসীন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে মধুপুর থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয় রোববার। এদিন বিকেলে শুনানি শেষে আব্দুর রাজ্জাককে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালত থেকে প্রিজনভ্যানে করে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, গত ১১ নভেম্বর আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে টাঙ্গাইল শহরে গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলা, মির্জাপুরে গত ৩ আগস্ট গুলিতে নিহত কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া গত ৪ আগস্ট মধুপুর উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তার পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
- আরও পড়ুন
মিরসরাইয়ে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীসহ ৫১ জনের নামে মামলা
নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর বাড়িতে রিজভী
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর প্রথমে আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে ১৫ নভেম্বর ইমন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মির্জাপুর থানায় নেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২০ নভেম্বর মধুপুর থানায় নেওয়া হয় তাকে। সেখানে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদকালে আব্দুর রাজ্জাক মারুফ হত্যা, ইমন হত্যা এবং মধুপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার সঙ্গে তার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান। তিনি এসব মামলায় আদালতে জবানবন্দি দেবেন না বলেও পুলিশকে জানান।
আব্দুর রাজ্জাকের আইনজীবী টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বারের সভাপতি এ কে এম শামীমুল আক্তার জানান, আব্দুর রাজ্জাকের জামিনের জন্য তারা আবেদন করেননি। আগামী ধার্য তারিখে জামিনের আবেদন করা হবে।
আরিফ উর রহমান টগর/কেএসআর