টাঙ্গাইলের হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম রয়েছে

4 months ago 33

টাঙ্গাইল জেলাজুড়ে চলছে রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) আতঙ্ক। জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সাপ দেখা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন। আবার সেই পোস্ট মিথ্যা বা গুজব বলছেন অনেকে।

টাঙ্গাইলের সিভিলসার্জন অফিস সূত্র জানায়, রাসেলস ভাইপারে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়ায় শনিবার (২২ জুন) সকালে বিষধর সাপের দেখা মিলে। পরে সেটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদের বাসার গেটে পাওয়া যায় এ সাপটি। অনেকে এটিকে রাসেলস ভাইপার বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট করেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি বাসার নিচে চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম। বৃষ্টির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক ভাড়াটিয়া বাইরে যাওয়ার সময় দেখেন একটি সাপ বাসায় প্রবেশ করছে। তিনি ডাকাডাকি করলে চেম্বারের লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

টাঙ্গাইলের হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম রয়েছে

তিনি আরও বলেন, সাপ যেহেতু একসঙ্গে অনেকগুলো বাচ্চা দেয়। সেহেতু বাসার আশপাশে আরও সাপ থাকতে পারে। আমাদের এ মহল্লায় সাপ নিধনে দ্রুত অভিযান চালানো জরুরি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান জানান, আমরা মূলত বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করি। সারাদেশে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করা হবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, রাসেলস ভাইপারে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সাপে কাটা রোগীদের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় ১০টি করে অ্যান্টিভেনম ডোজ এবং জেলায় ১০০টি ডোজ সংরক্ষিত রয়েছে। প্রয়োজনে এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article