টানা ৩০ দিন প্রতি রাতে গুড় ভেজানো পানি খেলে কী হয়?

শরীর-মনকে শান্ত রাখতে রাতের শেষ পানীয় হিসেবে অনেকেই ভেষজ চা, গোল্ডেন মিল্ক বা হালকা কোনো ঘরোয়া ড্রিংক বেছে নেন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আরেক সহজ উপাদান ‘গুড় ভেজানো পানি’। দেশে-বিদেশে বহু মানুষই এটিকে রাতের রুটিনে যুক্ত করছেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটি যেমন প্রস্তুত করা সহজ, তেমনি শরীরেও আনে দৃশ্যমান পরিবর্তন। হজমশক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে ঘুমের মান উন্নত করা, লিভার ডিটক্স, খনিজের ঘাটতি পূরণ কিংবা হিমোগ্লোবিন বাড়ানো—নিয়মিত ৩০ দিন রাতে গুড় ভেজানো পানি পান করলে যে উপকারগুলো মিলতে পারে, তা নিয়ে এখন বিস্তর আলোচনা চলছে। চলুন তাহলে জেনে নিই এই অভ্যাস শরীরে কী কী পরিবর্তন আনতে পারে— ১. ঘুমানোর আগে স্বস্তি ২০২১ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, গুড়ে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৭০-৯০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা পেশি শিথিলকরণ এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি খনিজ। তাই টানা ৩০ দিন প্রতি রাতে এই পানীয় পান করলে তা শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে। এর ফলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন এবং ঘুম থেকে উঠেও সতেজ বোধ করবেন। ২. লিভারের প্রাকৃত

টানা ৩০ দিন প্রতি রাতে গুড় ভেজানো পানি খেলে কী হয়?
শরীর-মনকে শান্ত রাখতে রাতের শেষ পানীয় হিসেবে অনেকেই ভেষজ চা, গোল্ডেন মিল্ক বা হালকা কোনো ঘরোয়া ড্রিংক বেছে নেন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যসচেতনদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আরেক সহজ উপাদান ‘গুড় ভেজানো পানি’। দেশে-বিদেশে বহু মানুষই এটিকে রাতের রুটিনে যুক্ত করছেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটি যেমন প্রস্তুত করা সহজ, তেমনি শরীরেও আনে দৃশ্যমান পরিবর্তন। হজমশক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে ঘুমের মান উন্নত করা, লিভার ডিটক্স, খনিজের ঘাটতি পূরণ কিংবা হিমোগ্লোবিন বাড়ানো—নিয়মিত ৩০ দিন রাতে গুড় ভেজানো পানি পান করলে যে উপকারগুলো মিলতে পারে, তা নিয়ে এখন বিস্তর আলোচনা চলছে। চলুন তাহলে জেনে নিই এই অভ্যাস শরীরে কী কী পরিবর্তন আনতে পারে— ১. ঘুমানোর আগে স্বস্তি ২০২১ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, গুড়ে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৭০-৯০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা পেশি শিথিলকরণ এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি খনিজ। তাই টানা ৩০ দিন প্রতি রাতে এই পানীয় পান করলে তা শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে। এর ফলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন এবং ঘুম থেকে উঠেও সতেজ বোধ করবেন। ২. লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্স গুড় একটি প্রাকৃতিক শরীর পরিষ্কারক। এটি লিভারের কাজের চাপ আরও কমিয়ে দেয়। রাতে গুড় ভেজানো পানি পান করলে তা ঘুমানোর সময় আপনার শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি আপনার শক্তি বৃদ্ধিতে এবং আরও সতেজতা নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে। তাই লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত গুড় ভেজানো পানি পান করার অভ্যাস করুন। ৩. হজমশক্তি বাড়ে গুড় ভেজানো পানি পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ গুড় শরীরের পাচক এনজাইমকে সক্রিয় করে, যা শরীরকে রাতের খাবার ভালোভাবে প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করে এবং ঘুমানোর আগে ভারী ভাব রোধ করে। এ ছাড়া, গুড় ভেজানো পানি মূত্রবর্ধক হিসেবেও কাজ করে; যা অন্ত্রের গতিবিধিকে উদ্দীপিত করতে করে। সেইসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ৪. খনিজ গ্রহণের উন্নতি হতে পারে ২০২৪ সালে জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি অধ্যায় অনুসারে, নিয়মিত গুড় ভেজানো পানি পান করলে তা পুষ্টির ছোট ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে। কারণ গুড়ে আয়রন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি থাকে। এই খনিজগুলো ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য, শক্তি উৎপাদন এবং স্বাভাবিক পেশি কার্যকারিতায় সহায়তা করে। ৫. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উপকারী হতে পারে আয়রন গ্রহণকে সমর্থন করার জন্য গুড়কে একটি মৃদু, খাদ্য-ভিত্তিক উপায় হিসেবে সুপারিশ করা হয়। নিয়মিত খেলে, বিশেষ করে রাতে যখন হজম শান্ত হয়, তখন এটি স্বাস্থ্যকর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। যারা সীমিত আয়রন বা রক্তস্বল্পতার সম্মুখীন হন তাদের জন্য এটি কার্যকর হতে পারে। সূত্র : এনডিটিভি  

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow