সংখ্যালঘুদের সহাবস্থান-সুরক্ষা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চান; কিন্তু তার জন্য সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামাজিক গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তারা আরও বলেন, স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ও কাঠামোগত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।  মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তেজগাঁওয়ের হলি রোজারি চার্চ, কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল এবং মোহাম্মদপুরের সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে বোমা হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর পালকীয় পরিষদ ও সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালের যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালের পাল পুরোহিত ফাদার অ্যালবার্ট রোজারিও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কের মধ্যে আছি। চার্চগুলো মানুষদের আস্থা, শান্তি ও ভক্তির জায়গা- সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এটি শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়, মানবাধিকার ও ধ

সংখ্যালঘুদের সহাবস্থান-সুরক্ষা নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চান; কিন্তু তার জন্য সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামাজিক গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ও কাঠামোগত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। 

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তেজগাঁওয়ের হলি রোজারি চার্চ, কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল এবং মোহাম্মদপুরের সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে বোমা হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর পালকীয় পরিষদ ও সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালের যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালের পাল পুরোহিত ফাদার অ্যালবার্ট রোজারিও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কের মধ্যে আছি। চার্চগুলো মানুষদের আস্থা, শান্তি ও ভক্তির জায়গা- সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এটি শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়, মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতিও আক্রমণ। আমাদের দাবি, অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক।’

বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আমরা জানান দিতে চাই যে, খ্রিস্টান সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ। নিরাপত্তার প্রশ্ন আর আলোচনার বিষয় হতে পারে না। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা সংস্থাকে আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, এই হামলা শুধু চার্চ নয়- আমাদের পরিবার, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

বিসিএর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই- কিন্তু তার জন্য সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামাজিক গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মানববন্ধন শেষে আহ্বানপত্রে বলা হয়, এটি এক দিনের প্রতিবাদ নয়- ভবিষ্যতে যাতে কেউ ধর্মীয় আক্রমণের শিকার না হয়, সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। সরকার, নিরাপত্তা সংস্থা ও সম্প্রদায় একসাথে কাজ করুক।

কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর পালকীয় পরিষদ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) এবং বিভিন্ন খ্রিস্টান সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow