‘টি-টোয়েন্টি আমাদের চেয়ে ক্যারিবীয়দের সামর্থ্য বেশি’

4 hours ago 7

ওয়ানডে সিরিজ হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেড কোচ ড্যারেন সামি শেরে বাংলার পিচ নিয়ে কোন অভিযোগ করেননি। উল্টো বাংলাদেশ দলকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বলেছেন, বাংলাদেশ হোম টিম, ওয়ার্ল্ডের সব টিম হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়। বাংলাদেশও নিয়েছে। সেটা দোষের কিছু নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এই পিচের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছে। এই কন্ডিশনে সাফল্য পাওযার অত্যাবশ্যকীয় কাজ গুলো কি কি- তা জেনে ও বুঝে পারফর্ম করেই জিতেছে বাংলাদেশ। আমরা তা পারিনি। আমাদের ক্রিকেটাররা এই পিচ উপযোগী ও লাগসই পারফর্ম করতে পারেনি।

ঢাকায় বসেই চট্টগ্রামের পিচ নিয়ে আগাম মন্তব্য করেছিলেন ক্যারিবীয় কোচ। বলেছিলেন, চট্টগ্রামের পিচে আমি কয়েকবার খেলেছি। কোচ হিসেবেও আগে দেখেছি। আমার জানামতে চট্টগ্রামের পিচ বরাবরই ভাল। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাই ভাল করতে আশাবাদী।

সেটা শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরের কথা না। সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগী মাত্রই তা মনে করেন। সবার জানা, ক্যারিবীয়রা হাত খুলে খেলতে পছন্দ করে। উইকেট যেমনই হোক ভয় ডরহীন ক্রিকেট মানে ইচ্ছেমত ফ্রি-স্ট্রোক প্লে করাই তাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। তাই ব্যাটিং সহায়ক উইকেট মানেই তাদের পয়োমন্তঃ ভেন্যু। কাজেই একে তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, যাতে তাদের সাফল্য বেশি। তার ওপর খেলাটা চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক পিচে।

দুয়ে মিলে ভাবা হচ্ছে, ওয়ানডে সিরিজের তুলনায় শাই হোপের দল টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রেয়তর ও কঠিন প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসও ঠিক তাই মনে করছেন। লিটনের অনুভব, উপলব্ধি, ওয়ানডে সিরিজ হারলেও ২০ ওভারের ছোট ফরম্যাটে ক্যারিবীয়রা তুলনামূলক ভালো ক্রিকেট খেলে। এই ফরম্যাটের সাথে দলের সব ক্রিকেটারের অভ্যস্ততা বেশি। কারণ, তাদের অনেকেই সারা বছর বিভিন্ন দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেন।

খুব স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায়, ক্যারিবীয়রা টি-টোয়েন্টিতে বেটার দল। এ সিরিজে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটাও থাকবে বেশি। টাইগার ক্যাপ্টেনের কথা, ‘তারা (ক্যারিবীয়রা) ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। কিন্তু তারা এই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলতে অভ্যস্ত। আমি এটা অলওয়েজ বলি যে, বিশেষ করে শর্টার ফরম্যাটে ক্যারিবীয়দের ক্যাপাবিলিটি অনেক বেশি। আর চট্টগ্রামে তারা অবশ্যই ভাল খেলার দাবিদার। কারণ চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। সেটা ক্যারিবীয়দের জন্য ভালো। কারণ, আমরা সবাই জানি যে চট্টগ্রামে একটু ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট, এটা নরমাল। যতদিন ধরে আমি খেলি, সেটাই দেখেছি।’

উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেই যে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাল্লা ভারি, সেটা মনে করতে নারাজ লিটন। তার ব্যাখ্যা, ‘উইকেট দু’দলের জন্যই সমান। আমাদের বোলার আছে, তাদেরও বোলার আছে। আমাদের ব্যাটার আছে, তাদেরও ব্যাটার আছে। সো, মাঠে নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভাল ক্রিকেটটা খেলবে সেদিন তাদের সম্ভাবনাই বেশি থাকবে। আর মিরপুরের বিষয়টা আমি বলতে পারব না। বাট চট্টগ্রামে আমরা আশা করতে পারি যে এবারও ভালো উইকেট হবে।’

শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তার দলের করণীয় কী? তাও বাৎলে দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। উইকেট ভালো মানে ব্যাটিং সহায়ক হলে করণীয় কি? তাও ঠাউরে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। তার কথা, ‘ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হলে আমরা চেষ্টা করব রান করার, আর যদি উইকেট টাফ হয়, তাহলে আমরা ফাইট করার চেষ্টা করব।’

এআরবি/আইএইচএস

Read Entire Article