টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে উইন্ডিজ দলে পরিবর্তন

1 week ago 12
ওয়ানডে সিরিজটা শেষ হয়েছে স্পিনের দাপটে, আর সেই ছাপ নিয়েই এবার চট্টগ্রামে নামবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের মাটিতে স্পিনের ছোবল সামলাতে হিমশিম খাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার টি–টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের স্পিন আক্রমণ আরও শক্তিশালী করেছে। ওয়ানডে সিরিজে দুই বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন ও গুড়াকেশ মোতিকে দেখা গিয়েছিল। এবার তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার খারি পিয়েরে। ফলে তিনজন বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের দুজন পেসার—শামার জোসেফ ও জেডিয়াহ ব্লেডস চোটের কারণে ছিটকে পড়ায় স্কোয়াডে জায়গা পাচ্ছেন মাত্র ১৪ জন ক্রিকেটার। গতকাল মিরপুরে শেষ ওয়ানডে জিতে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে ৪৪ উইকেট পতন বলছে—এ সিরিজটা ছিল স্পিনের খেলা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে জয়ের স্বাদ পেলেও বাকিগুলোয় স্পিনের জালে জড়িয়ে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবুও টি–টোয়েন্টিতে ভিন্ন চিত্র দেখতে চান ক্যারিবীয় কোচ ড্যারেন স্যামি। তার আশা, চট্টগ্রামে উইকেট কিছুটা ভালো হবে, খেলাটাও হবে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নিজের দলের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকেই বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দেখছেন স্যামি, ‘উইকেটটা আমাদের কাছে নতুন ছিল, কিন্তু অজুহাত নয়। দুই দলই একই জায়গায় খেলেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আমাদের চেয়ে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে, এটিই পার্থক্য।’ স্যামি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। বরং তিনি মনে করেন, সেটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাভাবিক রীতি— ‘আমি সব সময়ই হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার পক্ষে। বাংলাদেশ কী ধরনের উইকেট তৈরি করবে, তা ওদের সিদ্ধান্ত। আমার কাজ হলো এমন একটি দল গড়া, যারা দেশের বাইরে গিয়েও মানিয়ে নিতে পারবে।’ এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগানোই বাস্তবতা। তবে বিশ্বকাপের মতো আসরে সফল হতে হলে আগে থেকেই আলাদা প্রস্তুতির প্রয়োজন। ওয়ানডে সিরিজের পর আজই দুই দল উড়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামে। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আগামী ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর হবে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ। স্পিনে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
Read Entire Article