প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটককে আইনি বাধ্যবাধকতা পালনের জন্য ৭৫ দিনের সময় দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। সোমবার ওভাল অফিসে এটি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, টিকটকের বিষয়ে প্রতিটি ধনী মানুষ আমাকে ফোনকল করেছেন। খবর বিবিসির।
নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা সময়ের মধ্যে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সাময়িক এই পদক্ষেপ আমার প্রশাসনকে টিকটকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই একটি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ এনে দেবে।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতবছর টিকটিক বিষয়ক একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যে সময়ে এটা বন্ধ করা হয়েছিল তা দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার টিকটক বন্ধ হয়ে গেলেও রোববার আবার তা চালু হয়।
স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি। আর একটি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত। এগুলো সই করার পরে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত।
কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে তিনি জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পান। এই বিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। শপথ নেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। তবে শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই এই নীতি পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ মার্কিন সংবিধানেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে।
- আরও পড়ুন:
- বিজয় উদযাপনে ব্যস্ত ট্রাম্প, কী করছেন কমলা হ্যারিস?
- আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করাই মূল লক্ষ্য: ট্রাম্প
- জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের রিমেইন ইন মেক্সিকো বা ‘মেক্সিকোতেই থাকো’ নীতি ফের কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরও সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে।
টিটিএন