টিন সার্টিফিকেটে ভুল সংশোধন করবেন যেভাবে

1 hour ago 3

টিন সার্টিফিকেট বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সার্টিফিকেট, একটি ইউনিক নম্বর। টিন একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ যা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয়কর দাখিলের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি করদাতার একটি পরিচিতি হিসেবে কাজ করে এবং কর সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টিন সার্টিফিকেট প্রাপ্তির মাধ্যমে সরকার করদাতার আয়, কর পরিশোধ এবং অন্যান্য আর্থিক তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে।

টিন সার্টিফিকেট থাকলে আপনাকে বাধ্যতামূলত ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। যদি আপনার করযোগ্য আয় বা সম্পদ না থাকে তাহলে জিরো রিটার্ন দিতে পারবেন। অনেকে এটা ভালোভাবে বোঝেন না, এ কারণে ঝামেলা মনে করেন।

টিন সার্টিফিকেট থাকার কিন্তু অনেক সুবিধা আছে। এখন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে, নতুন ব্যবসা শুরু করতে লাইসেন্স নিতে গেলেও টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন। এমনকি ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্যও দরকার হয় টিন সার্টিফিকেট।

তবে অনেকসময় দেখা যায় টিন সার্টিফিকেট করতে গিয়ে কোথাও ভুল করে ফেলেছেন। নিজের নাম, বাবা-মায়ের নামের বানান, জন্মতারিখসহ বিভিন্ন ছোটখাটো ভুল হতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সহজেই এই ভুল সংশোধন করতে পারবেন। টিন সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য সাধারণত কোনো ফি লাগে না।

দেখে নিন কীভাবে ঘরে বসেই টিন সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করতে পারবেন-

১. প্রথমে আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ই-টিআইএন পোর্টালে নিবন্ধন করতে হবে। যদি আপনার আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে লগইন করুন। আর যদি না থাকে, তাহলে এই লিঙ্কে গিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

২. এবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘রেজিস্টার’ অপশনে ক্লিক করুন।

৩. প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন-নাম, ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল আইডি দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন।

৪. নিবন্ধন হয়ে গেলে আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পোর্টালে লগইন করুন। লগইন করার পর আপনার প্রোফাইল ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন।

৫. এবার আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর ‘টিন ইনফরমেশন’ অথবা ‘আপডেট টিন ইনফরমেশন’ অপশনটি খুঁজুন।

৬. এখানে আপনি আপনার টিন সার্টিফিকেটের তথ্য দেখতে পাবেন। যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, সেটির পাশে ‘এডিট’ অথবা ‘আপডেট’ অপশনটিতে ক্লিক করুন।

৭. প্রয়োজনীয় ঘরগুলোতে সঠিক তথ্য দিয়ে আপডেটের জন্য আবেদন করুন।

৮. সংশোধনের কারণ উল্লেখ করার প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে সংশোধনের স্বপক্ষে কিছু প্রমাণপত্র আপলোড করতে হতে পারে। যেমন-জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, অথবা অন্য কোনো সরকারি ডকুমেন্টস। নির্দেশনা অনুযায়ী স্ক্যান করা ডকুমেন্টস আপলোড করুন।

৯. সংশোধিত তথ্য দেওয়ার পর আবেদনপত্রটি ভালোভাবে দেখে নিন। এরপর ‘সাবমিট’ অথবা ‘আপডেট’ অপশনে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি জমা দিন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর একটি রিসিট ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন

আয়কর রিটার্ন কীভাবে ফাইল করবেন?
অনলাইনে আয়কর দিতে কী কী ডকুমেন্টস লাগবে?

কেএসকে/এমএস/এমএস

Read Entire Article