মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলে ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘অর্থহীন বৈঠক’ চান না। এ মন্তব্যের পর তার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি বৈঠকের পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে দুই সপ্তাহের মধ্যে বুদাপেস্টে নির্ধারিত শীর্ষ বৈঠকটি বাতিল হয়েছে।
বৈঠক স্থগিতের মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাশিয়া বর্তমান যুদ্ধরেখায় যুদ্ধবিরতি মানতে অস্বীকৃতি জানানো। ট্রাম্প ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের সমর্থিত একটি প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন, যাতে যুদ্ধ থামিয়ে বর্তমান ফ্রন্টলাইনেই সংঘাত ‘স্থির’ করার কথা বলা হয়। তবে মস্কো এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা দোনবাস অঞ্চলে পূর্ণ রুশ সার্বভৌমত্ব স্বীকৃতি এবং ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়। তবে মস্কোর এমন বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে কিয়েভ ও তার মিত্রর।
ইউরোপীয় নেতারা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধ শেষের আলোচনার সূচনা হতে হবে বর্তমান ফ্রন্টলাইনকে ভিত্তি করে। তারা রাশিয়াকে “শান্তির প্রতি অনাগ্রহী” বলেও অভিযুক্ত করেন।
সূত্র মতে, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির সাম্প্রতিক বৈঠক বেশ উত্তপ্ত অবস্থায় শেষ হয়। ইউক্রেনকে দোনেতস্ক ও লুহানস্কের কিছু অংশ ছেড়ে দিতে চাপ দেন ট্রাম্প। কিন্তু জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন তার দখলে থাকা কোনো অঞ্চল ছাড়বে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা চলছে যা রাশিয়াকে পুনরায় আলোচনায় ফিরতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি
কেএমএন