যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হতে চলেছে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি)। এই বৈঠকে সাধারণত মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত মনোনীত সদস্যরা উপস্থিত থাকেন। এবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্পের প্রধান অর্থদাতা ও উপদেষ্টা ইলন মাস্কও।
ট্রাম্প প্রশাসনে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই) নামে একটি নতুন দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন টেসলা সিইও। দপ্তরটি এরই মধ্যে হাজার হাজার ফেডারেল কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- ফেডারেল কর্মীদের কাজের হিসাব দিতে, না হয় পদত্যাগ করতে বললেন মাস্ক
- ইউএসএআইডির প্রায় সব কর্মীকে ছাঁটাই বা ছুটিতে পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
- ইলন মাস্কের কানাডার নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে আড়াই লাখের বেশি সই
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, মাস্কের কোনো মন্ত্রিসভা পদ বা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা না থাকলেও তিনি ‘বিশেষ সরকারি কর্মচারী’ ও ‘প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা’ হিসেবে ডিওজিইর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মাস্ক ছাড়াও এই বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কয়েকজন বিতর্কিত সদস্য উপস্থিত থাকবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন—
-স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র। তিনি টিকা-বিরোধী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং সম্প্রতি সংক্রামক রোগ গবেষণা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
- জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের জন্য পরিচিত।
- প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে।
ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতা সত্ত্বেও সিনেট ট্রাম্পের প্রায় সব মন্ত্রিসভা সদস্যকে অনুমোদন দিয়েছে। রিপাবলিকান পার্টি সিনেটে স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ট্রাম্পের প্রভাব এতটাই দৃঢ় যে দলীয় ভিন্নমত প্রায় নেই বললেই চলে।
সাবেক সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেল ছিলেন একমাত্র রিপাবলিকান, যিনি কেনেডির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে নিয়োগের বিরোধিতা করেন। মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা কেনেডির টিকা-বিরোধী অবস্থানের কারণে তার নিয়োগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এখনো কয়েকজন ট্রাম্প মনোনীত সদস্য সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শ্রমমন্ত্রী লরি চাভেজ-ডেরেমার এবং ছোট ব্যবসা প্রশাসনের প্রধান লিন্ডা ম্যাকমাহন।
সূত্র: এএফপি
কেএএ/