ট্রেনে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

2 months ago 8

আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। দেশে নতুন করে বাড়ছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ। সতর্কবার্তা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এ নিয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফিরতি যাত্রায় ট্রেনে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরছে মানুষ।

যাত্রীদের কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কারও মুখে নেই মাস্কও। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও মাস্ক পরিধান কিংবা কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে যাত্রীদের নির্দেশনা বা উৎসাহিত করছে না। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মাইকিং করে নির্দেশনা দেওয়া হলেও এবার এখনো তা করতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে কিছুই জানেনও না ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনের কর্মকর্তারা।

ট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরাট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা

বুধবার (১১ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব যাত্রী মাস্কবিহীন। দু-একজনের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও তা দুর্গন্ধের কারণে পরেছেন বলে জানান যাত্রীরা। ট্রেনের সাধারণ নন-এসি বগিতে গাদাগাদি করে ঢাকায় আসছেন স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরা। এসি-চেয়ার (স্নিগ্ধা) বগিতেও বিনা টিকিট এবং স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীদের ভিড়। তাদের কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের এক্সট্রা-২ বগির যাত্রী রেজাউল ইসলাম। তিনি চাটমোহর থেকে দাঁড়িয়ে ঢাকা এসেছেন। বিমানবন্দর স্টেশনে নামেন। রেজাউল জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদের সময় গাদাগাদি করে আসতে হবে। তাছাড়া তো কিছু করার নেই।’

করোনাভাইরাস বাড়ছে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি বলেন, ‘ওসব কিছু হবে না। এগুলো ভাঁওতাবাজি। আর কেউ তো কিছু বলছে না। ট্রেনের লোকজনও তো মাস্ক পরছে না। তাহলে আমরা কেন পরবো?’

ট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরাট্রেনের অপেক্ষায় প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা

তার কথার সত্যতাও মিলেছে। ট্রেনে টিকিট চেকের দায়িত্বে থাকা টিটিদের কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। খাবার বিক্রি করা কর্মীরা মাস্কবিহীন। তারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার বিষয়টি শুনলেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

জানতে চাইলে একজন টিটিই (ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক) নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চাকরি করি আমরা। তারা তো কোনো নির্দেশনা দেয়নি। নির্দেশ পেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাত্রীদের বলছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু জানি না। এটা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।’

এএএইচ/এমএএইচ/জিকেএস

Read Entire Article