ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আইনজীবী সাগরিকা ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, গতকাল বুধবার এস এম মোরশেদের পক্ষে এ রিট করা হয়। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থসচিব, বাণিজ্য সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) এবং ড. মইনুল খানকে বিবাদী করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন
- জবির যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন, প্রশ্ন সারজিসের
- কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন
আবেদনে ড. মইনুল খানের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং মইনুল খানের বিরুদ্ধে কেন আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সাত দিনের মধ্যে ৫ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন ও ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া মইনুল খান যেন দেশ ছাড়তে না পারেন সে জন্য নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী সাগরিকা ইসলাম জানান, আগামী সপ্তাহে রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে গত বছরের ২ এপ্রিল ‘এনবিআরের দুর্নীতিবাজ সদস্য মইনুল খানের ঘুষ বাণিজ্য, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন প্রসঙ্গে’ অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জমা দেন এস এম মোরশেদ। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ২০ অক্টোবর আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। তাতে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস