ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

1 month ago 25
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টেলিফোন করেছেন মার্কিণ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা  জ্যাক সুলিভান।  এ সময় তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মার্কিন সমর্থনের কথা জানান।  স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান কথা বলেছেন।  এ সময় তিনি চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফোনালাপে তারা দুজনেই ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এছাড়া সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত এবং বাংলাদেশের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়  অব্যাহত সমর্থনের কথা জানান মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।  উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসের বিফ্রিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবস্থানও জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে আমেরকিার অবস্থান জানায় হোয়াইট হাউস।  ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে কয়েকটি আমেরিকান ‍হিন্দু গোষ্ঠী হোয়াইট হাউসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। তারা শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা ও মন্দিরে হামলার অভিযোগ করে আসছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট অবগত কিনা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘ সম্মেলনে সাইডলাইন বৈঠকে এ বিষয়টি তিনি উত্থাপন করেছেন কিনা। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিরবি বলেন, আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এমনকি প্রেসিডেন্টও এ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য তাদের আইন প্রয়োগকারী এবং নিরাপত্তা পরিসেবার সক্ষমতা বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশি নেতাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনার সময় ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করছি। অন্তর্বর্তী সরকারও বারবার ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।
Read Entire Article