১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলামটরের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক পণ্ডিত ও বহুভাষাবিদ ড. সৈয়দ মুজতবা আলীর ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান। এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘বিশ্ব কবি মঞ্চ’, যেখানে আলোচনা সভা, কবিতাপাঠ, আবৃত্তি, সাহিত্য সম্মাননা প্রদান এবং লেখক হারুন চৌধুরীর উপন্যাস ‘মিশন আফগানিস্তান’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ড. সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যের এক স্বনামধন্য চরিত্র ছিলেন, যিনি সাংস্কৃতিক জাগরণের এক আলোকবর্তিকা হিসেবে সমাজে বিশেষ স্থান অধিকার করেছিলেন। জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে এই সাহিত্যিকের অবদান ও প্রভাবকে স্মরণ করে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ এইচ মোফাজ্জল করিম, প্রখ্যাত কবি, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানটি আরও সমৃদ্ধ করেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল, রবীন্দ্র কুমার রায়, দীপ্ত উদাস। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. অনুপমা কুমার পাল।
অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ ও আবৃত্তি করেন শিখা দেবনাথ, কাজী মুন্নি, জিএম মোর্শেদ, ইমরান সিকদার, কামাল বাীর, অমৃতা অদিত অতনু, মো. আতাউল্লাহ কবীর, অঞ্জলী বড়ুয়া, আফরোজা অদিতসহ আরও বহু কবি ও শিল্পী। আবৃত্তি শেষে অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী ড. সৈয়দ মুজতবা আলীর সাহিত্যিক মহত্ত্ব ও বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের কথা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি এএইচ মোফাজ্জল করিম অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের দেশ, আমাদের সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই সাহিত্যিকদের নিয়ে। আজ কোথাও তো দেখলাম না মুজতবা আলীকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করা হচ্ছে! কোনো খবরের কাগজে বা টিভিতে দেখলাম না কেউ তাকে নিয়ে লিখেছে! কিন্তু কেন? মুজতবা আলী দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বলে কি সবকিছু নিয়ে গিয়েছিলেন।’
অনুষ্ঠানে সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন কবিরাজ জহির উদ্দিন রহমান চৌধুরী, অনিতা মজুমদার, ফেরদৌস শেকিল (যুক্তরাজ্য), কথাসাহিত্যিক হারুন চৌধুরী (সুইডেন) এবং অন্যান্য বিশিষ্টজন। ‘সৈয়দ মুজতবা আলী সাহিত্য সম্মাননা ২০২৫’ প্রদান করা হয় তাদের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিভাবান সাহিত্যিকদের।