ডাক প্লেগ রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার বাকৃবির গবেষকদলের

1 hour ago 3

হাঁসের প্লেগ রোগের বিস্তার ঠেকাতে ইনঅ্যাক্টিভেটেড এবং লাইভ অ্যাটেনিউয়েটেড ডাক প্লেগ নামের দুটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।

গবেষক দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ড. মো. বাহানুর রহমান। গবেষক দলে আরও ছিলেন পিএইচডি ফেলো ডা. লায়লা ইয়াসমিন এবং প্রকল্পে কো-পিআই হিসেবে যুক্ত ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস উর রহমান খান। লাইভ স্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন দুটির সফলভাবে পরীক্ষাও করা হয়েছে। বাংলাদেশের হাঁস খামারিদের জন্য যা একটি বড় সুখবর।

আরও পড়ুন
বাকৃবিতে গবেষণা প্রকল্পের উন্নত জাতের ১৪ ভেড়া চুরি 
ট্রেনে কাটা পড়ে বাকৃবির ২০ ভেড়ার মৃত্যু 
চা পাতার নির্যাসে বাড়বে জারবেরা ফুলের জীবনকাল 

রোগের প্রেক্ষাপট ও গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রথমে মৃত হাঁস সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহের পর দেখা যায়, সিংহভাগ হাঁসেরই মৃত্যু হয় ডাক প্লেগ রোগে। এই প্যাথোজেনিক ডাক প্লেগ ভাইরাস হাঁসের ডিমের ভ্রূণে প্রবেশ করিয়ে বংশবৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সেখান থেকে ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে।

ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও প্রকারভেদ সম্পর্কে গবেষক বাহানুর বলেন, ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলকভাবে কিছু হাঁসের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জ টেস্টে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিনটি ৮৮ শতাংশ সুরক্ষা প্রদান করেছে। অন্যদিকে যে হাঁসগুলোকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, সেখানে ৯৩ শতাংশ হাঁস মারা গেছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিনটি স্বল্পমেয়াদে এবং লাইভ অ্যাটেনিউয়েটেড ভ্যাকসিনটি দীর্ঘ মেয়াদে হাঁস লালনপালনে সুরক্ষা দেবে। ইনঅ্যাক্টিভেটেড ভ্যাকসিন তৈরির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে এবং লাইভ অ্যাটেনিউয়েটেড ভ্যাকসিন তৈরির কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

ভ্যাকসিনটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে অধ্যাপক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের হাত ধরে খুব দ্রুতই দুটি ভ্যাকসিন খামারিদের কাছে পৌঁছবে।

আসিফ ইকবাল/এফএ/জিকেএস

Read Entire Article