ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে কমিটি গঠন করা হয়েছে : ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনের জন্য ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে’ কাজ চলমান।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসু আমাদের অঙ্গীকার। ডাকসুর জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটি সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে সুপারিশ জমা দেবে। সে সুপারিশের আলোকেই উৎসবমুখর ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। আমরা চাই, সবার মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ঐক্য তৈরি হোক। সবার মধ্যে এ ব্যাপারে যেন চুক্তি বা সমঝোতার মতো কিছু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাইকে নিয়েই একটা উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছি। দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে নিয়ে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে চাই। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কাম্য।
এদিকে, গতকাল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এ সময় ঢাবি শিক্ষার্থী মো. আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার, তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী, আব্দুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মোহাম্মদ সাকিব, আবিদ হাসান রাফি, আব্দুর রহমান আল-ফাহাদ এবং আরমানুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রদানের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। এই রোড ম্যাপের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কারের সময় নির্দিষ্ট করতে হবে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হয়, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হব। এর ফলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডাকসু পুনরায় সক্রিয় করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও, তার সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গঠনতন্ত্র সংশোধনের যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা বা অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে তাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা বরাবরই জাতীয় নেতৃত্বে পথপ্রদর্শক, এই প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে রয়েছে।