ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুটি জরিপ প্রকাশ করেছে দুটি সংগঠন। এর প্রথম জরিপটি করেছে ‘সোচ্চার’ নামের একটি সংগঠন এবং দ্বিতীয় জরিপটি করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ন্যারেটিভ’। যে জরিপের ফলাফল এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে সংগঠন দুটি।
তবে, জরিপ দুটির ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া বিভিন্ন প্যানেলের মধ্যে। তারা বলেন, এসব জরিপ নিরপেক্ষ নয়। ছাত্র শিবিরের পক্ষের লোকেরা এসব জরিপ প্রকাশ করছে বলে অভিযোগ তাদের।
জানা গেছে, জরিপ পরিচালনাকারী ‘সোচ্চার’ এবং ‘ন্যারেটিভ’-এর সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সাবেক কয়েকজন নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা আছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ‘ন্যারেটিভ’ নামের সংগঠনটির ব্যানারে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও তৎপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ ও অন্যান্য’। সেখানে অন্যতম আলোচক ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ।
এছাড়া গত বছর ১৬ অক্টোবর ন্যারেটিভের উদ্যোগে ‘জুলাই গণবিপ্লব পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি: প্রসঙ্গ ছাত্রশিবির’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। যেখানে ছিলেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি এস এম ফরহাদ এবং সাবেক কর্মী মোহাম্মদ ইশরাক।
অন্যদিকে, ‘সোচ্চার’-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আনাস বিন মুনির। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল থেকে এবারের ডাকসু নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন।
যদিও আনাস বিন মুনির বলেন, জরিপটি করেছে সোচ্চারের বাংলাদেশ শাখা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। জরিপের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।
এ সব জরিপে শিবিরের সম্পৃক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে শিবিরের প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দীন খান বলেন, জরিপ দুটি শিবিরের দ্বারা প্রভাবিত বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ‘সোচ্চার’ নামের সংগঠন একটি জরিপ প্রকাশ করে। অনলাইনে গুগল ফরমের মাধ্যমে গত ১ থেকে ২০ আগস্ট ৯৯১ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপটিতে শুধু ভিপি পদে কোন সংগঠনের প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা তুলে ধরা হয়।
আর ‘ন্যারেটিভ’ জরিপ চালায় গত ৩০ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যে জরিপ চালানো হয় ৫২৬ শিক্ষার্থীর ওপর। যার ফলাফল প্রকাশ করা হয় শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর)।