ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে পুরো ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপী ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করবে সংগঠনটি।
এ কর্মসূচির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সব হল শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ হল প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবেন। এছাড়া ক্যাম্পাসের অন্যান্য অঙ্গনেও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতারা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ওয়াসি তামিমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
- মাঠের রাজনীতিতে না পেরে অনেকে অনলাইনে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে: মায়েদ
- ভিপি পদে লড়া ৪৩ প্রার্থীর অধিকাংশই ‘আড়ালে’, আলোচনায় ৯ মুখ
আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো প্রার্থী বা পক্ষের যেকোনো ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেউ যদি এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে, তবে সেটি সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
তবে ছাত্রদল নেতারা বলছেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিটি কোনো সেবামূলক কার্যক্রম নয়। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ঘিরে ক্যাম্পাসে যে অপরিচ্ছন্নতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তারা সেটি সাংগঠনিক উদ্যোগে পরিষ্কার করবেন। ছাত্রদলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল ও কার্যকরভাবে ক্যাম্পাসজুড়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সফল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ আগস্ট ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী বা পক্ষ ২১ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না। তারা কোনো ধরনের উপঢৌকন বিতরণ, আপ্যায়ন, অর্থ সহযোগিতা কিংবা অনুরূপ কার্যক্রমে জড়িত থাকতে পারবেন না। এ ধরনের যেকোনো কার্যক্রম স্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন
কর্মসূচির বিষয়ে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটি কোনো সেবামূলক কার্যক্রম নয়। আমাদের প্রচারণার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট (অপরিচ্ছন্ন) হয়েছে। আমরা সেটি সাংগঠনিক উদ্যোগে পরিষ্কার করবো।’
জানতে চাইলে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের (নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন) কোনো সুস্পষ্ট অভিযোগ আসেনি।’
এফএআর/এমকেআর