প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রাকে যেমন সহজ ও উন্নত করেছে, তেমনি কিছু সংকটও তৈরি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সাইবার বুলিং। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেটের পরিসর এখন অনেক বড়। চাকরি থেকে ব্যবসা এমনকি পড়াশোনার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনকার সময়ের একটা বড় অংশ কাটে ইন্টারনেটে। আর এই সোশ্যালে হেয়প্রতিপন্ন হওয়াকে সাইবার বুলিং বলে।
বুলিংকারীরা মূলত শিশু-কিশোর ও নারীদের টার্গেট করে থাকে। সম্প্রতি ডাকসুর নারী প্রার্থীসহ কয়েকজন নারী নেত্রী বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের সাইবার বুলিং শুধু একজনকে মানসিকভাবে আঘাত করে না, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজে বিভাজন ও বৈরিতা তৈরি করে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা হতাশা, একাকীত্ব ও মানসিক চাপে ভোগেন।
এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে বেশ কয়েকজন স্কলারের সঙ্গে কথা বলেছে কালবেলা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবু তালহা রায়হান।
ইসলামি স্কলারদের মতে, মানুষের ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করা ইসলামি নৈতিকতার অন্যতম স্তম্ভ। কারও প্রতি বিদ্রূপ, অপমান বা গালাগাল করা গুরুতর গোনাহের কাজ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমি বলেন, সম্প্রতি দেশে সাইবার বুলিং মহামারির আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এটা ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে।
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, একটা বিষয়ে দায়িত্বগ্রহণের জন্য প্রতিযোগিতা চলছে, ভোটাভুটি হবে। সেক্ষেত্রে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে অপমান এবং ছোট করার জন্য সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, কেউ কাউকে হেয় করা, তাচ্ছিল্য করা বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারো দোষ মানুষের সামনে প্রচার করা হারাম। ইসলামে এটি জঘন্যতম অপরাধ। কোরআনের সুরা হুজরাতের ১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা স্পষ্ট ভাষায় এই সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো মুমিন পুরুষ মুমিন পুরুষকে এবং কোনো মুমিন নারী মুমিন নারীকে অপমান, লাঞ্ছিত ও হেয় প্রতিপন্ন করবে না।’
তিনি আরও বলেন, একই সুরার ১২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, কেউ কারো সম্পর্কে মন্দ বা খারাপ ধারণা পোষণ করতে পারবেন না। এমনকি কারো পেছনে লাগা থেকেও নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ কারো দোষ তালাশ করে সেই দোষগুলো মানুষের সামনে প্রকাশ করতে পারবে না। কাজেই সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে কাউকে আঘাত করা, তার দোষ খোঁজা, পেছনে লেগে থাকা এবং উপহাস করা আল্লাহর পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ। হারাম।
ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, কবি ও গবেষক মাওলানা মুসা আল হাফিজ বলেন, ইসলামি শরিয়তে নারীদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য, কটূক্তি, ট্রল বা হেয়প্রতিপন্ন করার কোনো বৈধতা নেই। এগুলো গুরুতর গোনাহ। সুরা হুজুরাতের স্পষ্ট নির্দেশনা, ‘হে মুমিনগণ, কেউ যেন অন্যকে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম। একে অপরকে কটূক্তি কর না এবং অপবাদ দিও না।’
এর মানে অন্যকে বিদ্রূপ, উপহাস বা গালগাল করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। পুরুষদের ব্যাপারে যেমন তা নিষিদ্ধ, নারীদের ব্যাপারেও। একজনের কাছে ট্রল হয়তো মজা, কিন্তু যাকে ট্টল করা হচ্ছে তিনি ঠিকই কষ্ট পান। আর অকারণে কাউকে দৈহিক আঘাত যেমন নিষিদ্ধ, সম্মানেও আঘাত করার বৈধতা নেই। আল্লাহ পাক বলেন, ‘যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয় (তাদের কোনো অপরাধ ছাড়াই), তারা এক প্রকার অপবাদ ও প্রকাশ্য গোনাহ বহন করে’ (সুরা আহজাব : ৩৩-৫৮)। নারীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য সরাসরি এই আয়াতের আওতায় পড়ে। এ ছাড়া রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমানকে গালি দেওয়া ফিসক (অপরাধ), আর তাকে হত্যা করা কুফর।’ (বোখারি ও মুসলিম)
মুসা আল হাফিজ আরও বলেন, অনলাইনে প্রকাশ্য বিদ্বেষ যদি সামাজিক ক্ষতি ও সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে এটি সামাজিক ফিতনা হিসেবেও গণ্য হয়, যার দায় শাস্তিযোগ্য। মনে রাখতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়া হলো প্রকাশ্য মজলিসের মতো। বাস্তব জীবনে যা গোনাহ, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও তা গোনাহ।
তার মতে, ইসলাম প্রতিটি বিষয়ে নৈতিক বিকল্প দিয়েছে। কটাক্ষ নয়, বরং হিকমাহ (বুদ্ধিদীপ্ত), সুন্দর উপদেশ, আর শ্রেষ্ঠতর যুক্তি দিয়ে কথা বলতে শিখিয়েছে ইসলাম (সুরা নাহল : ১৬-১২৫)। কাজেই, কেউ ভুল করলে শালীনতার মাধ্যমে তাকে শোধরানোর পরামর্শ এই আলেম গবেষকের।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া-এর সাবেক প্রফেসর ও বর্ষীয়ান আলেম ড. হাফেজ এবিএম হিজবুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি সাইবার বুলিং একটি প্রকট আকারের সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এটি শুধু ডাকসুতে নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, বরং এটা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
একে অপরকে বিভিন্ন বিষয়ে অপবাদ দেওয়া, অপমানিত করা, মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা, অর্থাৎ অন্যের বৈধ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা— এ জাতীয় সবকিছুই বুলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামে এ ধরনের অভ্যাসকে তাজাসসুস বলা হয়। কাজেই অন্যের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো, মিথ্যা অপবাদে জর্জরিত করা— ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না (সুরা হুজরাত : ১২)।
ড. হিজবুল্লাহ আরও বলেন, শুধু অনলাইনেই নয়, যে কোনো ভাবেই অন্যের সম্পর্কে সম্মানহানি বা অপমানজনক কোনো মন্তব্য করা ইসলামে নিষিদ্ধ এবং এটাকে জুলুম বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষায় জুলুম হচ্ছে আখিরাতের অন্ধকার। পরকালে জালিমের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট এবং ভয়ানক শাস্তির ব্যবস্থা। জালিমদের ওপর আল্লাহর লানত (সুরা হুদ : ১৮)। তাদের জন্য রয়েছে আখিরাতে নিকৃষ্ট আবাস ও অভিসম্পাত (সুরা গাফির : ৫২)। এ ছাড়াও অনেক শাস্তির কথা বর্ণিত আছে কোরআনে। অতএব সবার প্রতি আহ্বান, সাইবার বুলিংয়ে জড়িয়ে পড়ে নিজেকে জালিমের পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না।
নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে এই আলেম বলেন, কোরআনে যেমন নারীদের সম্মানিত করা হয়েছে, তেমনি নবীজির (সা.) হাদিসেও তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে। অতএব নারীর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, তাকে নিয়ে অশ্লীল এবং নৈতিকতা বর্জিত অপবাদ দেওয়া গোটা নারী জাতির প্রতি বৈষম্যের প্রতীক। আরবিতে একটি প্রবাদের অর্থ হলো, ‘সম্মানিতরাই নারীদের সম্মান করে আর ইতর শ্রেণির লোকরা নারীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়।’
সিলেটের মুরব্বি আলেম ও পূর্ব সিলেট মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শায়খুল হাদিস মাওলানা শামছুদ্দীন দুর্লভপুরি বলেন, আধুনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নারী সম্প্রদায়কে হয়রানি, হুমকি বা অপমান করা কখনো ইসলাম সমর্থিত নয়। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা (নারী) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা (পুরুষ) তাদের পোশাক’ (সুরা বাকারা : ১৮৭)। আয়াতে আমাদের একে অপরকে পোশাক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের একে অপরের জন্য প্রয়োজন হলো নিজের পোশাকের মতো এক জাতি অপর জাতিকে সংরক্ষণ করা।
আজকাল আমাদের প্রতিবাদের মাধ্যমে হয়ে উঠেছে ট্রল বা মিডিয়ায় অযাচিত মন্তব্য। এটা স্পষ্টত ইসলামি মূলনীতির বিপরীত। ঠাট্টা বিদ্রূপ করা কখনো মুমিনের কাজ নয়। নারী জাতিকে নিয়ে কখনো বিদ্রূপ করা ইসলাম সমর্থন করে না। হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করে নেবে, আল্লাহ তার দোষ ত্রুটিকে দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন করে রাখবেন (ইবনে মাজাহ : ২৫৪৪)। সুতরাং আমাদের উচিত নারী-পুরুষ সবার দোষ গোপন করা। নিন্দা না করে ভুল হলে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় উপদেশ দেওয়া। শুধরিয়ে দেওয়া।
জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি রেজাউল করীম আবরার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ করে নারীদের উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, গালাগাল, বিদ্রূপ, অপমান ও মানসিক আঘাত দেওয়া—সবগুলো ইসলামি আদর্শের পরিপন্থি। ইসলামে ভাষার ব্যবহার, অন্যের সম্মান রক্ষা এবং শিষ্টাচারের ব্যাপারে কঠোর ও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এইসব আচরণ কেবল সামাজিকভাবে নয়, বরং ধর্মীয়ভাবে গুরুতর অন্যায় এবং গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ, এক জাতি যেন অপর জাতিকে বিদ্রূপ না করে। হতে পারে, তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম’ (সুরা হুজুরাত : ১১)। পরের আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের পশ্চাতে দোষ চর্চা (গিবত) করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে ভালোবাসে? নিশ্চয়ই তোমরা তা অপছন্দ করবে’ (সুরা হুজুরাত : ১২)। আবরার বলেন, এই আয়াত দুটিতে স্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে, কাউকে অপমান, কটাক্ষ বা গিবত করা ইসলামি সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।
মুফতি আবরার আরও জানান, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনে বিশ্বাস করে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে’ (বোখারি : ৬১৩৬)। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা যা বলি বা লিখি, তাও এই হাদিসের অন্তর্ভুক্ত। কটু কথা, গালি বা কুরুচিপূর্ণ কন্টেন্ট—সবই এ হাদিসের আওতায় নিষিদ্ধ।
জিয়াউল উলুম মাদ্রাসা, ধামরাই-এর প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস মুফতি রেজাউল হক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ইসলাম সাম্য, স্বাধীনতা, মানবীয় মর্যাদার বিষয়ে নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করেনি। কাজেই অনলাইনে বা অফলাইনে সর্বাবস্থায় লিঙ্গ, বর্ণ, পেশা, আকৃতি ও পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি যে কোনো কারণে মানুষকে অবজ্ঞা করা, হেয় করা, ছোট করা, উপহাস করা, নিন্দা করা, মন্দ উপাধি দেওয়া—সবই হারাম।
তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটানোও হারাম। বিশেষ করে সুরক্ষিত চরিত্রবান নারীদের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করলে জনসমক্ষে একশো বেত্রাঘাতের বিধান সুনির্দিষ্ট।
মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণা, ভুয়া আইডি খুলে কারও ক্ষতি করা, গোপনে স্ক্রিনশট নেওয়া বা অন্যের সম্মানহানি, সামাজিক হেনস্তা, চরিত্রহনন, গুজব ছড়ানো, ছবি বিকৃতি অর্থাৎ এমন সাইবার বুলিং যা সরাসরি নারীজীবনে প্রভাব ফেলে—ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিতে এগুলো হারাম ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব নারী নেত্রী বা প্রার্থীদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম ও গর্হিত অপরাধ। হাঁ, কারো যদি কোনো ভুল হয়; তবে শরিয়তের ভাষায় শালীনতার মাধ্যমে তাকে বোঝানো প্রত্যেকের ইমানি দায়িত্ব।
জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম ঢাকা-এর ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার বুলিংয়ের ফলে একজন মানুষ মানসিক ঝুঁকির মুখে পড়ে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে, আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে, মারাত্মক ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে, অন্যের ক্ষতি করার মতো অবস্থায়ও পৌঁছাতে পারে; এমনকি আত্মহত্যাও করতে পারে। এ ধরনের সাইবার বুলিং ইসলামি শরিয়ায় জঘন্যতম পাপ কাজ। কাজেই নারী হোক কিংবা পুরুষ—যে কাউকেই অন্যায়ভাবে অপমান করা, মানহানি করা এবং তাকে নিয়ে বিদ্রূপ ও উপহাস করা শরিয়তের মানদণ্ডে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
মুফতি আব্দুর রহমান আরও বলেন, অন্যকে নিয়ে ট্রল করলে, গালাগাল ও অশ্লীল মন্তব্য করলে সেই ট্রল, গালাগাল বা অশ্লীল মন্তব্যের শিকার দুনিয়াতে নিজেও হতে পারেন। সুনানে তিরমিজি গ্রন্থের একটি হাদিস থেকে এমনটা বুঝে আসে। তাছাড়া অন্যকে নিয়ে বিদ্রূপ করা, হাসি-তামাশা করা, ট্রল করা কবিরা গোনাহ। এজন্য যাকে নিয়ে ট্রল করা হয়েছে, যদি তিনি ক্ষমা না করেন, তাহলে পরকালে সেই কবিরা গোনাহের শাস্তি পেতেই হবে।