ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন ফজলুল হক মুসলিম হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, ওই সংবাদে প্রকাশিত ভোটের তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সম্প্রতি ‘ডাকসু ও হল সংসদ: জয়ী প্রার্থীদের তালিকা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে দুই হলের কয়েকজন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা একই দেখানো হয়, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রকৃত ফলাফল প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রকৃত ফলাফল অনুযায়ী ফজলুল হক মুসলিম হলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ৮৪১, মো. আবিদুল ইসলাম খান ১৮১, উমামা ফাতেমা ১৫৩, আব্দুল কাদের ৪৭ ও শামীম হোসেন ১৪১ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ ৫৮৯, শেখ তানভীর বারী হামিম ২২৮, মেঘমল্লার বসু ৯৯ ও মো. আবু বাকের মজুমদার ৩৪১ ভোট পান। সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ ১৮৮, মো. মহিউদ্দিন খাঁন ৭০৫ ও আশরেফা খাতুন ৩৫ ভোট লাভ করেন।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ৬৭৪, মো. আবিদুল ইসলাম খান ২৪৮, উমামা ফাতেমা ১৫১, শামীম হোসেন ১৩১ ও আব্দুল কাদের ৭০ ভোট পান। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ ৫৪৪, মো. আবু বাকের মজুমদার ৭২ ও শেখ তানভীর বারী হামিম ৩৩৪ ভোট পান। সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মো. মহিউদ্দিন খাঁন ৫৭৭, তানভীর আল হাদী মায়েদ ২৩৪ ও আশরেফা খাতুন ২৮ ভোট পান।
বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্পষ্ট করে বলেছে, এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা এ ধরনের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানায়।
এফএআর/কেএইচকে