ডায়াবেটিসের কিছু আশ্চর্যজনক লক্ষণ, যা জানেন না অনেকেই

1 week ago 9

ডায়াবেটিস টাইপ-২ এখন একেবারেই সাধারণ এক দীর্ঘস্থায়ী রোগ। পৃথিবীতেই লাখো মানুষ এর ভুক্তভোগী। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েও টের পান না। কারণ, ডায়াবেটিস অনেক সময় ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে, কিন্তু রোগী বুঝতেই পারেন না।

আমরা সবাই জানি ডায়াবেটিসের কয়েকটি চেনা লক্ষণ হলো, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, অস্বাভাবিক ক্ষুধা ও তৃষ্ণা, শরীরে দুর্বলতা, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া কিংবা হাত-পায়ে ঝিনঝিনি করা। এগুলো ঘটে যখন শরীর ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না বা পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না। ইনসুলিনই হলো সেই হরমোন, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের কিছু অচেনা বা অদ্ভুত লক্ষণও আছে, যেগুলো দেখে অনেকেই রোগের কথা ভাবেন না। অথচ এগুলোও হতে পারে ডায়াবেটিসের আগাম সতর্কবার্তা।

চলুন জেনে নিই, ডায়াবেটিসের আশ্চর্যজনক অচেনা কিছু লক্ষণ—

হঠাৎ ওজনের পরিবর্তন

কখনো হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, কখনো আবার কমে যাওয়া—এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তনের পেছনে ডায়াবেটিস কাজ করতে পারে। বেশি প্রস্রাব হওয়ার কারণে শরীরে পানি ও ক্যালরি কমে যায়। আবার অনেক সময় রক্তনালির ক্ষতির কারণে শরীরে তরল জমে হাতের আঙুলের আংটি বা জুতো হঠাৎ আঁটসাঁট হয়ে যায়।

দাঁতের সমস্যা

মুখ বারবার শুকিয়ে যাওয়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া বা রক্ত পড়া—এসবও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে লালারস কম তৈরি হয়, ফলে মুখে ব্যাকটেরিয়া বেড়ে দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ দেখা দেয়।

পায়ে অস্বাভাবিক জ্বালা

ডায়াবেটিসে হাত-পায়ে ঝিনঝিনি বা অবশভাব হওয়া সাধারণ লক্ষণ। কিন্তু ঠান্ডা মেঝেতে হাঁটতে গিয়ে যদি মনে হয় গরম মাটির ওপর হাঁটছেন, এটিও ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘদিন রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্নায়ুর ক্ষতি হয়, তখনই এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

ত্বকে কালচে দাগ

ঘাড়, বগল বা নাভির নিচে ত্বক হঠাৎ কালচে বা গাঢ় হয়ে গেলে সেটি ইনসুলিন প্রতিরোধের লক্ষণ হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিন জমে ত্বকে এমন পরিবর্তন আসে।

মাথায় ঝাপসা ভাব

চিকিৎসকরা বলছেন, রক্তে শর্করা দীর্ঘদিন বেশি থাকলে মস্তিষ্কের কাজেও প্রভাব পড়ে। মাথা ঝাপসা লাগা, মনোযোগ কমে যাওয়া বা অকারণে মন খারাপ হওয়া—এসবও ডায়াবেটিসের অচেনা লক্ষণ।

করণীয়

চিকিৎসকদের পরামর্শ, শরীরে এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সময়মতো রোগ ধরা পড়লে নিয়ন্ত্রণও সম্ভব।

সূত্র : জিও নিউজ উর্দু

Read Entire Article