থাইল্যান্ডের সংসদ রক্ষণশীল বিরোধী দল ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুলকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। শুক্রবারের ভোটে জিতে অনুতিন ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টির পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। গত মাসে নীতিশাস্ত্র কেলেঙ্কারির কারণে সাংবিধানিক আদালত পেতংতার্নকে বরখাস্ত করেছিল। খবর আলজাজিরার।
উদারপন্থী পিপলস পার্টির সমর্থনে অনুতিন জনপ্রিয় ফেউ থাইয়ের প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরির বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। ৫০০ আসনের পার্লামেন্টে বৃহত্তম দলের বিপক্ষে অনুতিনের জয় অন্যতম কারণ হলো, তিনি চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আহ্বানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে ছোট দলগুলোও তাকে সমর্থন জানায়।
ভোটগ্রহণ এবং গণনা চলাকালীনই তার জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভূমজাইথাই নেতা ২৪৭ টিরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদের ৪৯২ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তার চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পাওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি এবং তার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের আগস্টে পেতংতার্ন দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি বিরোধীদের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক উত্তেজনা চলার মধ্যেই ফোনালাপ ফাঁস হয়।
কম্বোডিয়ার প্রাক্তন নেতা হুন সেনের সাথে বিতর্কিত ফোন কলের জন্য নৈতিক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এর জেরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে অপসারণ করেছে।
আদালত বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জুন মাসে হুন সেনের সাথে তার ফোনালাপের সময় একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক মান লঙ্ঘন করেছেন। যদিও তিনি একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘাতের তীব্রতা রোধ করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আদালত আরও বলেছে, পেতংতার্ন জাতির স্বার্থের চেয়ে তার ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন এবং দেশের সুনাম নষ্ট করেছেন।