ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম রাজারবাগে নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপির মাসিক এ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন উত্তরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)-দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুর রহমান।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বনানী থানার এসআই কাজী জাহিদুর রহমান আবির ও মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. ওসমান গনি। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এএসআই মো. রুহুল আমিন ও কদমতলী থানার এএসআই মো. সাইফুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বনানী থানার এসআই কাজী জাহিদুর রহমান আবির। অস্ত্র উদ্ধারে প্রথম হয়েছেন আদাবর থানার এসআই জাহিদ হাসান। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন কোতোয়ালি থানার এসআই মলয় বসু। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন গুলশান থানার এসআই মো. আরিফীন ইসলাম।
গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ)। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধারেও শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-সাইবার (দক্ষিণ) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মকবুল হোসেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার তানভীর হাসান।
ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন গুলশান-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু সায়েম নয়ন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন বাড্ডা ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. দেলোয়ার হোসেন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উত্তরা পূর্ব-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম ও গুলশান-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. আরিফুর রহমান।
এ ছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।