যেসব বাইকে ডিস্ক ব্রেক নেই তাদের ব্রেক করার জন্য বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এখন প্রায় সব বাইকেই ডিস্ক ব্রেক থাকে। ব্যবহার করা সহজ। চালকের নিরাপত্তাও নিশ্চিত। বিশেষ করে যারা প্রতিদিন দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করেন, তাদের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সব বাইকেই ডিস্ক ব্রেক থাকে না।
যে সব বাইকে ডিস্ক ব্রেক নেই, সেই সব বাইকের চালক কীভাবে ব্রেক ব্যবহার করবেন, বিশেষ করে সামনের ব্রেক। চলুন জেনে নেই-
১. টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডিস্ক ব্রেক নেই এমন বাইকে কীভাবে ব্রেক কষা উচিত, সেটা চালকের বাইক চালানোর পদ্ধতি এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। সেই অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তবেই চালক এবং সামনের জনের প্রাণ বাঁচবে।
২. ডিস্ক ব্রেক নেই এমন বাইকে সামনের এবং পেছনের ব্রেক একসঙ্গে ধীরে ধীরে ব্যবহার করতে হবে। বাইকের গতি সঠিক পদ্ধতিতে কমানোর এটাই একমাত্র উপায়। পাশাপাশি এতে চাকা স্কিড করার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়।
৩. রাস্তার পরিস্থিতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। চালক যদি হাইওয়ে-তে বাইক চালান তাহলে আলাদা কথা। কিন্তু কাঁচা রাস্তা কিংবা ভেজা বা পিচ্ছিল রাস্তায় বাইক চালালে সামনের ব্রেক কম ব্যবহার করাই ভাল। এই ধরনের রাস্তায় পেছনের ব্রেকই সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করা হয়।
৪. আচমকা কেউ বাইকের সামনে চলে এল, তৎক্ষণাৎ থামতে হবে, এমন পরিস্থিতিতেও তাড়াহুড়ো করা চলবে না। সবার আগে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। তারপর সামনের ব্রেক ধীরে ধীরে লাগাতে হবে এবং শেষে হালকা চাপতে হবে পিছনের ব্রেক। আচমকা জোরে ব্রেক কষলে বাইকের ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চালকের পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী চাকা স্কিড করতে পারে। এতে বাইক এবং চালক, দু’পক্ষেরই ক্ষতি হতে পারে।
৫. কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন। যেমন-ব্রেক কষলে বাইক থামছে কি না, থামতে কতক্ষণ সময় নিচ্ছে। তাই নিরাপদ ও ফাঁকা রাস্তায় ব্রেক কষে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেন টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা। যাতে বোঝা যায়, আসল সময় ব্রেক কষলে বাইক কীভাবে সাড়া দেবে।
কেএসকে/জেআইএম