মানিকগঞ্জে নরমাল ডেলিভারির পর নিজের সন্তানকে হাসপাতালের টয়লেটে ফেলে দেন এক তরুণী (১৭)। পরে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা টয়লেট পরিষ্কার করতে গেলে টয়লেটের পাইপে এক নবজাতকের দেহের অংশবিশেষ আটকে থাকতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। মুহূর্তেই হাসপাতালে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
পুলিশি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৯ মার্চ) সকাল আটটায় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন এক তরুণী। তার সঙ্গে বাবা-মা ছিলেন। অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। পাশাপাশি একাধিক টেস্ট দেন। সকাল সাড়ে নয়টায় গাইনি বিভাগের ৫০২ নম্বর রুমে ভর্তি হন তিনি।
পরে ওই তরুণী নিজেই নরমাল ডেলিভারির পর নবজাতককে টয়লেটে ফেলে দেন। বিকেলে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা টয়লেট পরিষ্কার করতে গেলে টয়লেটের পাইপে এক নবজাতকের দেহের অংশবিশেষ আটকে থাকতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। মুহূর্তেই এ ঘটনায় হাসপাতালে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
পরে ওয়ার্ডে থাকা ছয়টি বেডের রোগী এবং স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়। এক পর্যায়ে জানা যায় তরুণী অবিবাহিত ও জেলার একটি কলেজে অধ্যায়নরত।
তবে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তরুণীও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবিএম তৌহিদুজ্জামান বলেন, রোববার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী তার স্বজনদের সঙ্গে এসে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। তার এমন ঘটনায় আমরা বিচলিত। পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের উপপরিদর্শক শিবাস্তিন। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না।
মো. সজল আলী/এফএ/জিকেএস