ডোম-ইনোকে বহিষ্কারের দাবি প্রতারিত গ্ৰাহকদের

2 months ago 26

রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডোম-ইনোর নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিয়েল স্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) থেকে সদস্যপদ বাতিল ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রিহ্যাব ভবনের নিচে ডোম-ইনো রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রতারণা, ফ্ল্যাট হস্তান্তরে বিলম্ব এবং চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে প্রায় অর্ধশত জমির মালিক ও শতাধিক ফ্ল্যাট ক্রেতা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে রিহ্যাব নতুন কমিটির কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে ওই দাবি জানান।
 
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ভুক্তভোগী জমির মালিক হুমায়ুন হাসান, আদনান সোবহান, তোবারক হোসেন খান রিয়াদ, ফজলুর রহমান খান, মাইনুল আলম, তন্ময় মঞ্জুর মোরশেদসহ শতাধিক জমি ও ফ্ল্যাট মালিক।

তারা জানান, আমাদের জীবনের শেষ সম্বল জমিটুকু উন্নয়নের জন্যে ডোমইনো রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে ভবন তৈরি ও ফ্ল্যাট কেনার চুক্তি করে এখন আমরা পথে বসে গেছি। আমরা এক ভয়াবহ সংকটে বিপর্যস্ত।
 
তিন বছরে ভবন ও ফ্ল্যাট বানানোর কথা বলে গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে প্রকল্প বুঝিয়ে না দিয়ে আমাদের সঙ্গে কোম্পানিটি প্রতারণা করছে। এমনকি চুক্তিপত্র অনুযায়ী সাইনিংমানি প্রদানের শর্ত থাকলেও সে অর্থের বড় অংশ অনেক জমির মালিক এখনো বুঝে পাননি। অন্যদিকে ফ্ল্যাট গ্রহীতাদের কাছ থেকে সমুদয় অর্থ আদায় করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুরের ভাই আব্দুস সালামের মালিকানাধীন কোম্পানিটির বাস্তবায়নাধীন এমন প্রকল্পও আছে, যেখানে চুক্তি সইয়ের এক দশক পরও ভূমি উন্নয়নের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়নি। এ দীর্ঘ সময়েও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ১০ শতাংশ।

অথচ ডোম ইনো এরই মধ্যে তাদের প্রাপ্য অংশের নির্মাণাধীন প্রায় সব ফ্ল্যাট বিক্রি করে ফেলেছে। কোনো কোনো প্লটে এক ফ্ল্যাট একাধিক ক্রেতার কাছেও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বিক্রয়লব্ধ অর্থ কোন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, কিংবা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কি-না, তা একেবারেই অস্পষ্ট।
   
মানববন্ধন শেষে রিহ্যাবের নতুন কমিটির কাছে স্মারকলিপির মাধ্যমে ডোম-ইনো নামধারী সকল প্রতিষ্ঠানের রিহ্যাব সদস্যপদ বাতিল ও রিহ্যাব থেকে ডোম-ই-নোকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।
 
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে রিহ্যাবের বিরুদ্ধে কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হবেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

Read Entire Article