ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করবেন যেভাবে

অনেক সময় ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে তা খেয়াল রাখেন না। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে পড়তে হয় ঝামেলায়। মেয়াদ শেষ হওয়া লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয়, যার জন্য বড় অঙ্কের জরিমানা এবং শাস্তি হতে পারে। একবার ট্রাফিক পুলিশের হাতে পড়লে এজন্য বেশ আইনি জটিলতায় পড়তে হবে আপনাকে। তাই সময় থাকতেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করে নিন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সহজেই কাজটি কীভাবে করবেন- অপেশাদার হলে-১. ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে করণীয় হলো প্রথমে নির্ধারিত ফি অনলাইনে জমা দেওয়া এবং তারপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্ধারিত সার্কেল অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করা। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিন পর থেকে প্রতি বছরের জন্য অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। ২. অনলাইনে ফি জমা: প্রথমেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ওয়েবসাইট থেকে নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি (বর্তমানে ৪১৫২ টাকা) অনলাইনে জমা দিন। ৩. মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ১৫ দিন পর থেকে প্রতি বছরের জন্য ৫১৮ টাকা জরিমানা প্রযোজ্য হবে। তাই আগেই করুন। ৪. আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনার এল

ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করবেন যেভাবে

অনেক সময় ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে তা খেয়াল রাখেন না। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে পড়তে হয় ঝামেলায়। মেয়াদ শেষ হওয়া লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয়, যার জন্য বড় অঙ্কের জরিমানা এবং শাস্তি হতে পারে।

একবার ট্রাফিক পুলিশের হাতে পড়লে এজন্য বেশ আইনি জটিলতায় পড়তে হবে আপনাকে। তাই সময় থাকতেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করে নিন। আসুন জেনে নেওয়া যাক সহজেই কাজটি কীভাবে করবেন-

অপেশাদার হলে-
১. ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে করণীয় হলো প্রথমে নির্ধারিত ফি অনলাইনে জমা দেওয়া এবং তারপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্ধারিত সার্কেল অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করা। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ দিন পর থেকে প্রতি বছরের জন্য অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে।

২. অনলাইনে ফি জমা: প্রথমেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ওয়েবসাইট থেকে নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি (বর্তমানে ৪১৫২ টাকা) অনলাইনে জমা দিন।

৩. মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ১৫ দিন পর থেকে প্রতি বছরের জন্য ৫১৮ টাকা জরিমানা প্রযোজ্য হবে। তাই আগেই করুন।

৪. আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আপনার এলাকার বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন জমা দিন।

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, লাইসেন্স নবায়নের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার প্রয়োজন নেই এবং কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও সহজ হয়েছে।

পেশাদার হলে
১. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

২. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি (মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

৩. গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং-এর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন-
১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২. রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
৫. নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ।
৬. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

আরও পড়ুন
বৃষ্টিতে বাইকের সাইলেন্সারে পানি ঢুকলে কী করবেন?
বাইকের ‘এবিএস সিস্টেম’ আসলে কী জানেন?

সূত্র: বিআরটিএ

কেএসকে/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow