বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কলেজটির নর্থ হলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এরপর মিছিলটি হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে নাইমের গলি হয়ে কলেজের মূল ফটকে সমাপ্ত হয়।
এ সময় তারা ‘আবু সাইদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, ঢাকা কলেজে হবে না’, ‘আদু ভাইয়ের ঠিকানা, ঢাকা কলেজে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘ক্যাম্পাসে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই,’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাকিব বলেন, দুই দিন ধরে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও পদধারী দুই গ্রুপের কিছু নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমরা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ২ হাজার শহীদের বিনিময়ে শেখ হাসিনাকে হটিয়ে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু এতদিন ছাত্রলীগ যে কাজটা করেছিল ককটেল বিস্ফোরণ করে ছাত্রদলের ভাইয়েরা সেই কাজটিই করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা খুবই লজ্জিত আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলন করে ৫ আগস্টের পর ঢাকা কলেজে নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরি করেছি। আপনারা অপরাজনীতির নামে যদি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করেন তাহলে শেখ হাসিনাকে যেভাবে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি, ঠিক সেভাবে ছাত্রদলকেও হল ছাড়তে বাধ্য করব। সুতারং আপনারা ছাত্রদের নিয়ে রাজনীতি করেন।
আরেক সমন্বয়ক গাজী হোসাইন বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ফলে অর্জিত বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে তারা সুন্দর ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যারা ককটেল বিস্ফোরণ করছে তারা চিহ্নিত। তারেক জিয়াকে নিয়ে স্লোগান দেয় এবং মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছি তারা ছাত্রদলের। আপনারাও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছিলেন, তারই ফলে একটি বৈষম্যবিরোধী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ৩৬ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এরপর রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে কলেজের বিভিন্ন স্থানে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।