ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি এলাকা নিরাপদ রাখতে পুলিশ দিনরাত কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী।
তিনি বলেছেন, পুলিশি কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে এবং সমাজ থেকে অপরাধ দূর করতে হলে শুধু পুলিশই নয়, জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ যেন বলে ‘আমাদের পুলিশ’। আমরা সেই পুলিশ হতে চাই।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আজিমপুরের পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও লালবাগ থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
- আরও পড়ুন
- পুলিশ বাহিনী যেমন হওয়া উচিত আমরা সে রকম হতে চাই
- থানায় জিডির এক ঘণ্টার মধ্যে সাড়া দেবে পুলিশ
ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে আইন ও বিধির মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশের প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর একটি শপথের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে নিযুক্ত হতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আমরা জনগণের অংশ। পুলিশকে বলা হয় সিভিলিয়ান ইন ইউনিফর্ম। পুলিশ আসলেই সিভিলিয়ান। কাজ শেষে যখন বাসায় যাই তখন আমিও কিন্তু আপনাদের মতো একজন মানুষ। পুলিশ কখনো নিপীড়ক হতে পারে না, পুলিশ হবে জনগণের বন্ধু।
শওকত আলী আরও বলেন, মাদক, ইভটিজিং ও দখলবাজির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে জনগণকে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে।
লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। পুলিশের সহায়ক শক্তি হচ্ছেন আপনারা (জনগণ)। সমাজ থেকে অপরাধ দূর করতে ছাত্র-জনতা, শিক্ষক ও নেতৃবৃন্দের ভূমিকা প্রয়োজন। পুলিশি সেবা দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও লালবাগ থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত রিয়াজ উদ্দিন নামে একজন বলেন, ডিএমপির এ ধরনের কাজকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরনের মতবিনিময় সভা যেন ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকে। আমরা পুলিশকে সাধ্যমতো সহযোগিতা ও যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে চাই।
সভায় ডিএমপির লালবাগ বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
টিটি/এমকেআর/এএসএম