হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো সেকশনে আগুন লাগার পরেই ঢাকাগামী কয়েকটি প্লেন বিকল্প রূটে পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে দিল্লি ও চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী দুইটি প্লেন কলকাতায় অবতরণ করেছে। তবে সেই প্লেন কখন কলকাতা বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে সেই বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি।
যতক্ষণ না ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ এই প্লেন দুটি কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকবে।
বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা গেছে, যাত্রীদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে লাগা এ আগুন পাঁচ ঘণ্টায়েও নেভেনি। এতে দেশের প্রধান বিমানবন্দরটিতে সব ধরনের বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ। এখানে নামতে না পেরে ফ্লাইটগুলো যাচ্ছে অন্য বিমানবন্দরে।
আজ দুপুর আড়াইটার দিকে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওয়ানা হয়। পরে আগুন ছড়াতে থাকলে ইউনিটের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ১৩টি ফায়ার স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। পাশাপাশি কাছ থেকে আগুন নেভাতে আনা হয়েছে ‘রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট’। এ রোবট মানুষের সাহায্য ছাড়াই খুব কাছ থেকে আগুনে পানি নিক্ষেপ করতে সক্ষম। এছাড়া যেখানে আগুনের শিখা রয়েছে সেখানেও পানি দিতে পারে রোবটটি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কার্গো সেকশনে সংঘটিত অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট এবং নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী।
ডিডি/এমএসএম