পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জনগণের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বোর্ডকে জনগণ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ ও আবেদনের উত্তর দিতে হবে। জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে, তাদের অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিকারসহ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকার চার নদীর (বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী) দখল ও দূষণমুক্তকরণের পরিকল্পনাটা আমরা চূড়ান্ত করে যাবো, যাতে পরের সরকার এসে এ নদীগুলো দূষণমুক্তকরণের কাজ এগিয়ে নিতে পারে।
পাউবোর ৫৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৩১ মে) ঢাকায় গ্রিন রোডের পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে ‘পানি খাতে সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
পাউবোর জোনের প্রধান প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ বর্ষার সময়ে পাউবোর ৯টি জোনের প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীদের মাঠপর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার জন্য নিয়মিত মাঠে যেতে হবে। যাতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়া যায়।
পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আসন্ন বর্ষা সামনে রেখে একটা টাস্কফোর্স গঠন করতে চাই, যেখানে পানিসম্পদ সচিবের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি, এডিজি এবং সারাদেশের ৯ জোনের প্রধান প্রকৌশলীর সমন্বয়ে একটা টাস্কফোর্স কাজ করবে। এ টাস্কফোর্স দেখবে এ বর্ষায় কোথায় কোথায় জরুরি ভিত্তিতে আমাদের যেতে হবে, জরুরি ভিত্তিতে কোথায় কোথায় কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জোনের প্রধান প্রকৌশলীরদের মধ্যে থেকে যে প্রধান প্রকৌশলীর কাজ সবচেয়ে ভালো হবে এবং যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ থাকবে না, বর্ষা শেষে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাকে পুরস্কৃত করবে। একই সঙ্গে জোনের তরুণ প্রকৌশলীদের মধ্যে যে সবচাইতে ভালো কাজ করবে, যার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ থাকবে না তাকেও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত করবে। হৃদয়ে ধারণ করে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকার চার নদীর (বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী) দখল ও দূষণমুক্তকরণের পরিকল্পনাটা আমরা চূড়ান্ত করে দিয়ে যাবো, যাতে পরের সরকার এসে এ নদীগুলো দূষণমুক্তকরণের কাজ এগিয়ে নিতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে ৬৪টি নদী পরিষ্কারকরণের কর্মপরিকল্পনা আমরা এনেছি। তার থেকে সাত বিভাগের সাতটি নদী, কক্সবাজারের বাঁকখালী এবং ঢাকার চারপাশের চারটিসহ মোট ১২টি নদী দখল ও দুষণমুক্তকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পাউবোর মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) মিজানুর রহমান।
আরএএস/এমএএইচ/জেআইএম