ঢাকা মহানগরীতে আরও পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন বহুতল নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। শিশুদের মানসিক বিকাশ, শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত ও শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে দৃষ্টিনন্দন এসব ভবন নির্মাণ করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন এ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নতুন ভবন পাওয়া পাঁচটি বিদ্যালয় হলো- মিরপুরের লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাড্ডার ভোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডেমরার পাড়াডগার মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গুলশানের মুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।
১১৬ কক্ষে ক্লাস করতে পারবে ৪ হাজার শিক্ষার্থী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। পাঁচটি ভবনের মধ্যে চারটি ছয়তলা এবং একটি ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট চারতলা ভবন। এগুলোতে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষককক্ষ মিলিয়ে ১১৬টি কক্ষ রয়েছে। ওয়াস ব্লক রয়েছে ১২২টি। বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণ ক্ষমতা ৪ হাজার।
‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর ১২ থানায় ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৪টি নতুন বিদ্যালয়সহ মোট ৩৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২০ হতে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।
এ প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি উঠবে। স্কুলগুলোর ভবন নির্মাণ বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং নির্মাণকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এএএইচ/এমআইএইচএস