ভোরের আলো ফোটার পর মাস্ক ও হেলমেট পরে হঠাৎ সড়কে নামেন কয়েকজন। কখনো-সখনো সন্ধ্যার পর। সামনে থাকে ব্যানার। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ থাকে তাদের প্রধান স্লোগান। মিছিল চলে দৌড়ের গতিতে! এ কৌশলেই নিয়মিত মাঠে নামছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের এমন ঝটিকা মিছিল নিয়ে বেশ বিপাকে পুলিশ।
শুরুর দিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা কম থাকলেও যত দিন গড়াচ্ছে মিছিল তত বড় হচ্ছে। কৌশলও বদলাচ্ছে তারা। একদল মিছিল করলে আরেক দল থাকছে আটক হলে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকার পরেও খোদ ঢাকায় নিয়মিত এমন মিছিলে কিছুটা ‘বিব্রত’ অন্তর্বর্তী সরকার। মিছিল কেন্দ্র করে চাপে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রত্যাহার হয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তিনজন কর্মকর্তা। পুলিশ সূত্র জানায়, ডিএমপির কাছে গোপন তথ্য ছিল কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকাজুড়ে ঝটিকা মিছিল বের করবেন।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর নির্দেশনায় অপরাধ বিভাগের আটজন উপ-কমিশনার ও অন্য ইউনিটের উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সকাল থেকে মাঠে তৎপর ছিলেন। পুলিশ বাধা দিলে মিছিলের পেছনে থাকা ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করবেন, ডিএমপির কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্যও ছিল। ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডিএমপির একাধিক অতিরিক্ত কমিশনার। তারা পুলিশ সদস্যদের তৎপর থাকতে বারবার ওয়াকিটকিতে দিকনির্দেশনা দেন।
একপর্যায়ে একাধিক অতিরিক্ত কমিশনার মাঠপর্যায়ে তদারকিতে নামেন। এরই অংশ হিসেবে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি পুলিশের দুটি টহল গাড়িসহ পাঁচটি গাড়ি থানা কম্পাউন্ডে দেখতে পান। অথচ এসব গাড়ি টহলে থাকার কথা। এ কারণে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত এবং মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) রাকিবুজ্জামান ও এসআই মাসুদুর রহমানকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি হেডকোয়ার্টার থেকে সব থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে- নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যেন কোনোভাবেই একত্র হতে না পারে। একত্র হওয়ার আগেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট থানা ও জোনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে না পারলে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জেনে ঢাকার ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এক প্রকার আতঙ্কে আছেন। ডিএমপির একটি সূত্র বলেছে, ঝটিকা মিছিলের ব্যাপারে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের গা-ছাড়া ভাব থাকায় ডিএমপি কমিশনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বেশি ঝটিকা মিছিল ঢাকায়
ঝটিকা মিছিল সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ঢাকায়। একদিনে তিনটি ঝটিকা মিছিলও হয়েছে। আর প্রতিটি মিছিলের পর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ তাদের অন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে মিছিলের ভিডিও প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলের পর ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর পৌনে ২টার দিকে কারওয়ান বাজারে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক সদস্য জড়ো হন। তারা সরকারবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখান থেকে ব্যানারসহ পটুয়াখালীর বাউফল থানা ছাত্রলীগের কর্মী মো. আবির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন
‘আওয়ামী লীগ ধরলে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ যা বললো ডিএমপি
কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের পর আটক ২০
ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতি, গ্রেফতার ৫
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করলে মোটরসাইকেলে আরেকটি দল এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীর ধানমন্ডি ও তেজগাঁওয়ে একযোগে জায়গায় ঝটিকা মিছিল বের করে।
শুধু দিনে নয়, রাতেও হচ্ছে এমন মিছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতিঝিলের দিলকুশা ডিবিএল ভবনের সামনে ঝটিকা মিছিল করেন আওয়ামী লীগ দলের নেতাকর্মীরা। পুলিশ সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করে। এর তিনদিন আগে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাংলামোটর ও গুলশানে ঝটিকা মিছিল করার সময় ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর মিরপুর দারুসসালাম এলাকায় ঝটিকা মিছিলের পর আওয়ামী লীগের ১৮ জনকে আটক করা হয়। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও তাদের ঝটিকা মিছিল হচ্ছে।
বাইরে থেকে লোক এনে ঢাকায় মিছিল, অর্থ আসছে বিদেশ থেকে
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন কৌশল ও অর্থের বিনিময়ে মাঠের শক্তি দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগ এ ঝটিকা মিছিল করছে। মিছিল ঢাকায় হলেও এতে অংশ নেওয়া অধিকাংশ নেতাকর্মী ঢাকার বাইরের। স্থানীয় লোকজন যাতে তাদের না চিনতে পারে এবং সহজে মিছিল করে চলে যেতে পারে, সেজন্য ঢাকার বাইরের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে মিছিলের নির্দেশনা দিচ্ছেন বিদেশে পালানো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে গ্রেফতার অনেকেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তাদের বিদেশ থেকে নির্দেশনা ও অর্থ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় ঝটিকা মিছিল হলে ওসি-পরিদর্শক প্রত্যাহার
ঢাকার কোনো থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল হলে জবাবদিহি করতে হবে সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের। পরিদর্শকদের থানা থেকে প্রত্যাহারও করা হবে। ডিএমপির ৫০ থানার ওসি ও পরিদর্শককে এই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর বার্তায় বলা হয়, ‘যেসব থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিল হবে, সেই থানার ওসিসহ সবাইকে সে বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তাদের দায়িত্বে অবহেলা ও শিথিলতার কারণে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার ওই বার্তা দেওয়ার দিনই শেরেবাংলা নগর থানার দুই পরিদর্শককে প্রত্যাহার করা হয়। সূত্র বলছে, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ৬০ ফিট ও শ্যামলীতে একাধিকবার ঝটিকা মিছিল হওয়ার কারণে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, ঝটিকা মিছিলের ব্যাপারে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের গা-ছাড়া ভাব থাকায় ডিএমপি কমিশনার এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়।
‘আতঙ্কে পুলিশ’
কয়েকটি থানার কর্মকর্তা জানান, ডিএমপি কমিশনারের ওই বার্তার পর থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ৫-১০ জন মিলে হঠাৎ কোনো সড়কে বা গলিতে কয়েক সেকেন্ডের মিছিল করলে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা সটকে পড়ে। ফলে তাৎক্ষণিক কিছু করা যায় না। পরে ছবি-ভিডিও দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আবার এক এলাকায় মিছিল করছে অন্য এলাকার লোক। এ কারণে তাদের আটক করাও সহজ হচ্ছে না। তারপরও তারা আওয়ামী লীগের মিছিল যেন না হয়, সেই চেষ্টা করছেন। পুলিশ সদস্যরা এখন সব সময় ঝটিকা মিছিল নিয়ে টেনশনে রয়েছেন।
‘মনিটরিং’ জোরদারের আহ্বান
ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে মনিটরিং (নজরদারি) জোরদারের কথা জানিয়েছিল সরকার। এছাড়া এর নেপথ্যে যারা সক্রিয় রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। নেপথ্যে যারা সক্রিয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ও ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের কোনো নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ধরলে ‘পুরস্কার’
ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় ঢাকায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক। কোনো কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল ঢাকায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি যেন অবনতি না ঘটাতে পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও সিটিটিসি কাজ করছে। মিছিল-পরবর্তী সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দিতে পারলে জনপ্রতি পুলিশ পাবে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার। বিষয়টি কতটুকু সত্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে পুলিশ সদস্যরা ভালো কাজ করলে উৎসাহিত করা হয়। আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার প্রবিধান আইনিভাবে রয়েছে। কাজে উৎসাহিত করার জন্য তাদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়। তবে বিশেষভাবে কোনো একটি বিষয়ে কাজের জন্য পুরস্কৃত করার বিষয়টি জানা নেই।’
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, আইন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই ঢাকায় ঝটিকা মিছিলকেন্দ্রিক নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও কার্যক্রম চালাচ্ছে।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘মিছিলে ঢাকার স্থানীয় নেতাকর্মীদের কম ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকার কয়েকজন নেতৃত্ব দিলেও অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী ঢাকার বাইরে থেকে আসছে, যাতে তাদের সহজে শনাক্ত করা না যায়। যেমন- ধানমন্ডির মিছিলটি করেছেন চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা, আর তেজগাঁওয়ের মিছিল করেছে বাগেরহাট ও খুলনার একটি গ্রুপ। এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরের। তবে মিছিলগুলো অর্গানাইজ করছেন ঢাকা মহানগরের নেতারাই। আমরা সজাগ, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
টিটি/এএসএ