ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের উদ্যোগে ‘সংবাদ মাধ্যমের পাতায় পাতায় জুলাই অভ্যুত্থান’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী তথ্যচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে দুপুর ১২টার দিকে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী, সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের মাসুদুর রহমান, লেখক ফোরামের উপদেষ্টা ফয়সাল আহাম্মদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলামসহ ফোরামের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন শাখার সদস্যরা। সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত।
সারা দেশে চলা ৩৬ জুলাই ব্যাপী (২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট অবধি) অভ্যুত্থান সংক্রান্ত পত্রিকার সংবাদ, ছবি ইত্যাদির কাটিং এতে প্রদর্শিত হয়েছে। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় সংগঠিত জুলাই বিপ্লবের স্থিরচিত্রও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীতে প্রথম আলো, কালবেলা, মানবজমিন, নিউ নেশন, দেশ রূপান্তর, যুগান্তর, সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, সমকাল, ইনকিলাবসহ একাধিক মূলধারার সংবাদপত্রে প্রকাশিত জুলাই বিপ্লবের সময়ের উল্লেখযোগ্য সকল খবর স্থান পেয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের প্রচার সম্পাদক ও এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবিদ হাসান রাফি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংবাদ মাধ্যমগুলোর গুরুত্বগুলো নিয়ে পাবলিক পরিসরে আলাপ হচ্ছে না। যখন ইন্টারনেট শাট ডাউন ছিল তখন পত্রিকা থেকেই আমরা আন্দোলনের সার্বিক বিষয়ে জানতে পারতাম। পত্রিকাগুলো এই গণ অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পত্রিকাগুলোর এই অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই মূলত আমাদের এ আয়োজন।
ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন বলেন, জুলাইকে ডকুমেন্টেশনের আওতায় বনার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। মানুষ যেন এগুলো থেকে তাদের জুলাইয়ের স্মৃতিকে চাঙ্গা করতে পারে তারই চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদের পাশাপাশি আমরা হৃদয়কাড়া ছবিও প্রদর্শন করছি।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে জাতীয় পত্রিকাগুলো পরিস্থিতি জানার অন্যতম মাধ্যম ছিল। সেসময়ের পত্রিকায় জুলাইয়ের অনেক স্মৃতি সংগৃহীত আছে। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোন সংবাদমাধ্যম কী প্রচার করছে, কীভাবে প্রচার করছে, এর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ উঠে আসবে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে। জুলাইয়ের স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম এমন আয়োজন করেছে।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেকে অভ্যুত্থান বলে আমি বলি বিপ্লব। এখানে শুধু ক্ষমতা নয় একটা ধারার পরিবর্তন হয়েছে। এটাকে আমি নতুন বাংলার রেঁনেসা বলি। আমাদের প্রজন্ম এটার সাথে যত খাপ খাওয়াতে পারবে ততই বিপ্লব সুসংহত হবে। আমাদের প্রজন্ম ও তরুণ প্রজন্মে একটা গ্যাপ আছে। আমরা তরুণদের ভাবনাকে বুঝতে পারছি না। এ ধরনের আয়োজন যত বেশি হবে তত আমাদের জন্য তরুণদেরকে বুঝা সহজ হবে। আর এই আয়োজন ডকুমেন্টেশন এর কাজ করে। একটা ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখে। এ ধরনের আয়োজন ব্যতীত বিপ্লব বেহাত হয়ে যাবে।