ঢাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সম্মেলন শুরু রোববার

2 months ago 7

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘দ্য স্টেট রিফর্মস অ্যান্ড ইলেকশন ডিসকোর্স ইন ট্রানজিশনাল ডেমোক্রেসিস: ফ্রম মাস আপরাইজিং টু ইলেকশন অ্যান্ড স্টেট বিল্ডিং’ শীর্ষক সম্মেলন শুরু হচ্ছে। রোববার (২২ জুন) ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রথম এই পলিটিক্যাল সায়েন্স সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে।

সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেল ৫টায় কি-নোট উপস্থাপন করবেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

প্রথম দিনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এছাড়াও উদ্বোধনী সেশনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন।

এছাড়াও প্রথম দিনের বিভিন্ন সেশনে চেয়ার ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেনসহ আরও অনেকে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সমাপনী বক্তব্য রাখবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইয়াহইয়া আখতার।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে শ্যাডো রিফর্ম কমিশন, শ্যাডো ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন এবং পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, এই সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীসহ অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এসব প্রবন্ধ বর্তমান বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংস্কার ও নির্বাচনকে ঘিরে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে সহায়ক হবে।

সম্মেলনের দুইদিনে বিভিন্ন থিমেটিক সেশনের পাশাপাশি থাকবে সিভিল সোসাইটি সেশন ও পলিটিকাল পার্টি সেশন, যেখানে ছায়া সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা প্রাইমারি ডাটা কালেকশনের মাধ্যমে এই সম্মেলনের ভিত্তি গড়ে তুলেছে। সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করা এবং বাস্তবায়ন করা- এই দুটো বিষয়ই চ্যালেঞ্জিং। রাজনৈতিক দলগুলোকে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন জনগণ সেই সংস্কারে ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা দেখতে পায়।

সম্মেলনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ থাকবে। এতে ছায়া সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবনা নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, আমাদের এই বাংলাদেশের ইতিহাস বহু মানুষের রক্তে রঞ্জিত। ৫ আগস্টের ঘটনাতেও আমরা সেই আত্মত্যাগ প্রত্যক্ষ করেছি। আমাদের দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ তরুণ। যদি এই তরুণ প্রজন্মকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।

এফএআর/এএমএ/এএসএম

Read Entire Article