ঢাবির টিএসসিতে নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের জায়গা উদ্বোধন

3 hours ago 5

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজের নির্দিষ্ট স্থান উদ্বোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি ছেলেদের নামাজের জায়গার কার্পেট পরিবর্তন এবং অজুখানার জায়গাও সংস্কার হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জোহরের নামাজে ইমামতির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নামাজের জায়গা উদ্বোধন করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন সিদ্দিকুর রহমান খান, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক (দক্ষিণ) অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক (উত্তর) অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ।

উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক ঢাবি শিক্ষার্থী বলেন, আগে টিএসসিতে মেয়েদের জন্য নামাজের জায়গা ছিল না। এটা আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। একবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু ছাত্রলীগের বাধার কারণে টেকেনি। এবার আপুদের জন্য নামাজের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ছেলেদের নামাজের জায়গায় ব্যবহৃত বহুদিনের পুরাতন কার্পেটও পরিবর্তন করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বলেন, ১২ এপ্রিল, ২০২২ এ রমজান মাসে টিএসসিতে নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করি প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে। ২৪ ঘণ্টাও রাখতে পারিনি। ছাত্রলীগ সেটা ভেঙে দেয়। এরপর দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা আবার টিএসসিতে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। যারা এ কাজে আন্জাম দিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। আমাদের কষ্টকে কবুল করে নিক। আজ আমরা মেয়েরা এবং ম্যামরা একসঙ্গে জোহর নামাজ পড়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে কার্জন, চারুকলা, সেন্ট্রাল ফিল্ডে আমরা মেয়েদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করবো ইনশা আল্লাহ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠান আমাদের জন্য এক মহৎ এবং অনন্য একটি মুহূর্ত। আমরা আজ নতুন নামাজের জায়গার উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, যা আমাদের সবার জন্য একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং আত্মিক উন্নতির ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। বিগত প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এ নায্য দাবির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। আশা করি এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে পারবো এবং নিজেদের আত্মিক উন্নতি সাধন করতে পারবো।

এমএইচএ/এমএইচআর/এমএস

Read Entire Article