তরুণদের আলাদা বুথের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি: ইসি সচিব

3 weeks ago 9

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। নির্বাচনের প্রস্ততির এ মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১৮ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সচিব। এদিন মাঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয় নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি সচিবালয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা তো আরও পরের ব্যাপার। আমাদের কনসার্ন হওয়ার এই মুহূর্তে কোনো কারণ আছে? আমরা আমাদের জিনিসটা গুছিয়ে নিচ্ছি, যে যার জায়গাটাকে গুছিয়ে নিলেই তো হয়ে যাবে। সেটা নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত।

ইসি সচিব বলেন, মাঠপ্রশাসনে যারা আছেন তারা রেসপেক্টিভ এরিয়াতে (নিজ নিজ জায়গা) কাজ করছেন, আইনশৃঙ্খলাল সঙ্গে যারা আছেন তারা রেসপেক্টিভ এরিয়াতে করছেন। আমাদের মধ্যে একটা যোগাযোগ তো আছেই। এটা নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগ প্রকাশ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই।

রোডম্যাপ এ সপ্তাহে, সমন্বয় সভা হচ্ছে

ইসি সচিব জানান, নির্বাচনী রোডম্যাপের খসড়া করা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে তা তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, একটা কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে বলা হয়েছিল এই সপ্তাহে। এটা (রোডম্যাপ) কোঅর্ডিনেট করা হচ্ছে, কর্মপরিকল্পনা আন্তঃঅনুভাগ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে ড্রাফটটা করা হয়েছে। ড্রাফটটা এখন কমিশনে দিয়ে আমরা অ্যাপ্রুভ করবো। এটা আমরা এই সপ্তাহের মধ্যে দিতে পারবো।

সচিব জানান, মাঠ প্রশাসনে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে হবে, তাদের কার্যপরিধি কী হবে, ফোকাল পারসন নির্ধারণের ব্যাপার আছে; পরিপত্র নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত যে কাগজপত্র তৈরি করা- এ বিষয়ে এখন (সোমবার বিকেলে) একটা মিটিং চলছে।

তিনি বলেন, আমরা কোঅর্ডিনেট করার চেষ্টা করছি যেন আমরা একটু অ্যাহেড ইন টাইম কাজগুলোকে গুছিয়ে রাখতে পারি।

সীমানা আপত্তি শুনানি ২৪ আগস্ট

আখতার আহমেদ বলেন, এবার ৩০০ আসনের মধ্যে ৮৩টি আসনের দেড় সহস্রাধিক দাবি-আপত্তি এসেছে। শুনানি শেষ করে দ্রুত নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের যেসব আপত্তি এসেছে, ২৪ আগস্ট থেকে শুনানি শুরু করবো। একটানা চারদিন চলবে এবং এটাকে ফাইনালাইজ করবো।

ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ নিয়ে পরিকল্পনা, বিবেচনায় ভোটার উপস্থিতি

এবার পৌনে ১৩ কোটি ভোটার দাঁড়াবে নির্বাচনের সময়। সবশেষ গত সংসদ নির্বাচনে ১২ কোটি বেশি ভোটারের জন্য ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল।

এবার ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়ে কীভাবে সমন্বয় করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা নিচ্ছে ইসি সচিবালয়।

সচিব আখতার আহমেদ বলেন, মান্থলি কোঅর্ডিনেশন কমিটির মিটিংয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি যে কেন্দ্র সংখ্যা বাড়বে না। বাড়বে না এর অর্থ এই নয় যে- অতীতে যা ছিল সেটাই একদম হুবহু রাখতে হবে বা সংখ্যা। যৌক্তিক বিবেচনায় যদি বাড়ে সেটা হবে।

প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটা কেন্দ্র করে ভোটার উপস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করছে ইসি। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়েও শুধু ভোটার উপস্থিতির বিষয়টাকে যদি আমরা বিবেচনায় নেই তাহলে হয়তো দেখা যাবে যে এটাকে সমন্বয় করতে পারছি।

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ করার বিষয়ে সরকারের আগ্রহ থাকলেও ইসি কী উদ্যোগ নিচ্ছে- জানতে চাইলে সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত এটা আমাদের কোনো আলোচনায় আসেনি। যদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে হবে।

২২ দলের তদন্ত শুরু, বাদ ১২১ দলকেও চিঠি

নিবন্ধন প্রত্যাশী বাছাইয়ে টিকে থাকা ২২টি দলের অফিস, কমিটির তদন্তের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান সচিব।

তিনি বলেন, যে ২২টি রাজনৈতিক দল প্রাথমিকভাবে বাছাই হয়ে, তাদের তদন্ত মাঠপর্যায়ে পাঠানো দরকার, সেটা পাঠিয়ে দিয়েছি। আর যাদেরটা বাতিল বা বিবেচনাযোগ্য হয়নি তাদের আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি।

এবার কোন কারণে বা কোন শর্তের অপূর্ণতার কারণে তাদেরটা বিবেচনা করা যায়নি সেটা স্পেসিফিক উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের নীতিমালার ব্যাপারটা সুযোগ এসেছে বলে পর্যালোচনা করা যাচ্ছে। কোনো জিনিসই একদম অবধারিত না, এটা পরিবর্তন হতে পারে।

এমওএস/ইএ/জেআইএম

Read Entire Article